Protest in Raj Bhavan: তৃণমূল নেতাদের ‘দাদাগিরি’তে দুর্বিষহ জীবন, যন্ত্রণার কথা জানাতে রাজভবনের দরজায় মেমারির জীবান
Protest in Raj Bhavan: শুক্রবারও একইভাবে রাজভবনে এসেছিলেন জীবান শেখ ও তাঁর পরিবার। গতকালও পুলিশ গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর এদিন ফের বৃদ্ধা মাকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনের দ্বারস্থ হয় মেমারির বাসিন্দা জীবান। কিন্তু, চ্যাংদোলা করে তুলে দিল পুলিশ।
কলকাতা: চাষ করতে পারছেন না জমিতে। অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। শাসক তৃণমূলের অত্যাচারে দিশেহারা বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা জীবান শেখ ও তাঁর পরিবার। জমিতে চাষ না করতে দেওয়া থেকে শুরু করে জমির ফসল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ শাসকদলের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজভবনে একাধিকবার চিঠি দিলেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি, মেলেনি দেখা করার অনুমতি। তাই আজ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে অনড় ছিল জীবান শেখ ও তাঁর পরিবার। সে কারণেই নিজেদের অসহায় পরিস্থিতির কথা, শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য মেমারি থেকে সপরিবারে রাজভবনে চলে আসনে জীবান শেখ। রাজভবনে গেটের উল্টোদিকের ফুটপাথে বসে পড়েন সকলে।
পরিস্থিতি নজরে পড়তেই নিরাপত্তার কারণে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা পৌঁছে সকলকে চলে যেতে বলেন। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বাদানুবাদ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। টানতে টানতে সকলকে নিয়ে গিয়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। এ ঘটনায় এদিন দুপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় রাজভবন চত্বরে। জীবান শেখের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের রেশন কার্ড ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারফলে বিগত দুবছর যাবৎ কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছেন না। সে কারণেই বৃদ্ধা মা ও পরিবারের অনন্য সদস্যদের নিয়ে কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে বলেই দাবি জীবান শেখের।
শুক্রবারও একইভাবে রাজভবনে এসেছিলেন জীবান শেখ ও তাঁর পরিবার। গতকালও পুলিশ গাড়িতে করে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর এদিন ফের বৃদ্ধা মাকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে দ্বারস্থ হয় মেমারির বাসিন্দা জীবান। এদিন কাঁদতে কাঁদতে জীবান শেখের বোন বলেন, “তৃণমূলের ছেলেরা আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে দেয় না। কারও সঙ্গে মিশতে দেয় না। বলছে এটা তৃণমূলের অর্ডার। আমরা এভাবেই অত্যাচার করব। কোন নেতা তোদের বাঁচায় আমরা দেখব।”
জীবানের মা বলেন, “ওর বাবা কংগ্রেস করত। আমরা তো পার্টির কাজ করতে যাই না। কিন্তু, এখন আমাদের সব কেড়ে নিয়েছে। আমার মেয়ের বিয়ে হতে দিচ্ছে না। আমরা কী খাব এখন, কী পরব?” জীবান বলেন, “২ বছর হল রেশন কার্ড কেড়ে নিয়েছে। কিচ্ছু নেই। চাষ করে কোনওমতে জীবন চালাচ্ছিলাম। সেটাও এখন বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা কী অন্যায় করেছি? এ কথা জানাতেই রাজ্যপালের কাছে এসেছিলাম আজ।”