R G Kar: ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট বলেছিলেন DC সেন্ট্রাল, শুনে কী বললেন অভীক?
R G Kar: এ বিষয়ে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, "যিনি বলেছিলেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট, আমরা বলেছিলাম, আপনি সত্যি কথা বলছেন না। আজ সেটাই তো প্রমাণিত হল। IMA বলেছিল, ওই বিশেষ ব্যক্তি পরিচিত।
কলকাতা: ‘ক্রাইম সিন’- তথ্যপ্রমাণ, নুমনা সংগ্রহ করতে তিলোত্তমা পর্বে ঠিক এই শব্দটাই সবচেয়ে বেশি বেগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। ক্রাইম সিনে একাধিক ব্যক্তির ভিড়, যাঁদের মধ্যেই অনেকেই আবার বহিরাগত বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা। বিতর্ক দানা বেঁধেছিল লাল জামা পরিহিত এক ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়েও। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা দাবি করেছিলেন, লাল জামা পরিহিত ওই ব্যক্তি এসএসকেএমের পিজিটি অভীক দে, যিনি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। বহিরাগত হয়ে তিনি কীভাবে সেখানে? প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু বিতর্ক দানা বাঁধতেই সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। ছবি দেখিয়ে প্রত্যেককে শনাক্ত করেছিলেন তিনি। লালা জামা পরিহিত সেই ব্যক্তিকে ডিসি সেন্ট্রাল দাবি করেছিলেন, তিনি FSL টিমের সদস্য অর্থাৎ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ।
কিন্তু ডিসি সেন্ট্রালের বক্তব্যকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেই IMA বেঙ্গলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, যে লাল জামা পরিহিত ব্যক্তি আর কেউ নন, তিনিই অভীক দে। এবার TV9 বাংলা সেই বিষয়টিই জানতে চায় অভীক দের কাছে।
এতদিন পর ক্রাইম সিনে তাঁর উপস্থিতি থাকার কারণ নিয়ে যখন মুখ খুললেন অভীক, তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘আপনি কি ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট?’ অভীক বললেন, ” হাস্যকর…” এতদিন অন্তরালে ছিলেন অভীক দে। প্রকাশ্যে এসেই অভীক বললেন, “অনেক কথা আমাকে নিয়ে শুনেছি। আমি নাকি ৮ অগস্ট রাত থেকে আরজি করে ছিলাম। গত ৯ অগস্ট সকাল থেকে নাকি আরজি করে ছিলাম।আমার টাওয়ার লোকেশন দেখলেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
এই খবরটিও পড়ুন
এ বিষয়ে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, “যিনি বলেছিলেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট, আমরা বলেছিলাম, আপনি সত্যি কথা বলছেন না। আজ সেটাই তো প্রমাণিত হল। IMA বলেছিল, ওই বিশেষ ব্যক্তি পরিচিত। আজ অভীক দে যে প্রতিক্রিয়া দিলেন, তাতেই প্রমাণিত হয়, ওই ব্যক্তি ওঁই ছিলেন। কে পাঠিয়েছিলেন, কে ডেকেছিলেন, পুলিশই ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ডিসি সেন্ট্রাল সত্য বলেননি সেদিন।”
IMA-এর যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ময়নাতদন্ত দুপুরে হল, তার আগেই অভীক দে জেনে গেলেন খুন ও ধর্ষণ হয়েছে। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন তো অবশ্যই দেখবে সিবিআই। কিন্তু সেটা ট্র্যাকিং করে, শুধু একটি নয় আরও মোবাইল থাকতে পারে, কিংবা মোবাইলটা সে সময়ে সুইচ অফ করে রাখাও হতে পারে… কিন্তু এসবের পরও কিন্তু অপরাধী ছাড়া পাবে না।” চিকিৎসক সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, অভীক এখন অস্বীকার করতেই পারেন। কিন্তু তিনি হেসে পরোক্ষে বুঝিয়েই দিলেন, তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর তিনিই সেই ব্যক্তি। তাতে কলকাতা পুলিশের অস্বস্তি বাড়ল।