Rajdhani Express: রাজধানী থেকে নিখোঁজ হলেন যাত্রী
Rajdhani Express: পরিবারের দাবি, সেখানে গিয়ে দেখেন মৌসমের ল্যাগেজ ও মোবাইল থাকলেও মৌসম নিখোঁজ। এরপরে পরিবার শিয়ালদহ জিআরপি-র দারস্থ হলেও কোনও নিখোঁজ ডায়েরি নেওয়া হয়নি বলে দাবি। পরবর্তীতে দমদম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
কলকাতা: রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে নিখোঁজ ব্যক্তি। গত ২৭ জুন ওই ব্যক্তির ট্রেনে চড়ে দিল্লি থেকে শিয়ালদহ ফেরার কথা ছিল। ২৮ তারিখ নামতেন তিনি। কিন্তু ফেরেননি। ওই ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, শিয়ালদহ জিআরপি-র দারস্থ হলেও কোনও নিখোঁজ ডায়েরি নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে দমদম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
নিখোঁজ ব্যক্তির নাম মৌসম ঘোষ (৪০)। দিল্লি থেকে তাঁরই ফেরার কথা ছিল শিয়ালদহে। সেই দিনই তাঁর এক বন্ধু তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু খুঁজে পাননি। তার ফোন বেজে যাচ্ছিল কেউ ধরছিল না। পরিবারের দাবি, এরপরে আরপিএফ ফোন ধরে জানিয়েছেন, তাঁর ফোন পাওয়া গিয়েছে। ওই বন্ধুর তরফে মৌসমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা তড়িঘড়ি শিয়ালদহ পৌঁছয়।
পরিবারের দাবি, সেখানে গিয়ে দেখেন মৌসমের ল্যাগেজ ও মোবাইল থাকলেও মৌসম নিখোঁজ। এরপরে পরিবার শিয়ালদহ জিআরপি-র দারস্থ হলেও কোনও নিখোঁজ ডায়েরি নেওয়া হয়নি বলে দাবি। পরবর্তীতে দমদম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
কিন্তু পনেরো দিন কেটে গেল ওই ব্যক্তির কোনও খোঁজ না পাওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত গোটা পরিবার। পরিবারের দাবি, রাজধানীর মত একটি ট্রেন যেখানে প্রতিটা কামরায় সিসিটিভি থাকে সেখান থেকে কী করে একজন নিখোঁজ হয়ে গেল? মৌসমের বন্ধু বলেন, “শিয়ালদহের ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাজধানী ঢোকার কথা ছিল। আমি খোঁজাখুঁজি করি। তারপর ফোন করি। সন্ধ্যেবেলায় রিং হয়। জিআরপি ফোন তোলে। এরপর আমি মাসিকে জানাই।”
এ প্রসঙ্গে মৌসমের মাসির দাবি, তাঁদের সন্তান কোথায় রয়েছে তার খোঁজ তারা যেন পায়। কান্নায় ভেঙে পড়তে পড়তে এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি। নিখোঁজের মাসি বলেন,”আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি দমদম থানায়।” পুলিশ সূত্রে খবর,তাঁরা সমস্ত জায়গায় নিখোঁজের তথ্য পাঠিয়েছেন।