AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IISER : পয়লা বৈশাখে ছেলেহারা মায়ের বুকফাটা কান্না, পুলিশ কেন নির্বিকার? আর্তি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে

IISER Kolkata: ৪ তারিখ শুভদীপ মারা যায়। আত্মহত্যা করে। শুভদীপের পিএইচডি গাইড ফোন করে বলেন অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। ৮ এপ্রিল তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। কেন চার দিন পরে ফরেনসিক পরীক্ষা হল? এখনও কেন গ্রেফতার করা হল না?কাঁদতে কাঁদতে প্রশ্ন মায়ের।

IISER : পয়লা বৈশাখে ছেলেহারা মায়ের বুকফাটা কান্না, পুলিশ কেন নির্বিকার? আর্তি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে
কী বলছেন মৃত গবেষক পড়ুয়ার মা?
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2022 | 7:09 PM
Share

কলকাতা : আইজারের পড়ুয়া হিসেবে যথেষ্ট মেধাবী ছিল শুভদীপ। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন বুনতেন শুভদীপের মা রঞ্জনা রায়। গর্বও করতেন খুব ছেলেকে নিয়ে। কিন্তু এক লহমায় সব শেষ। ছেলেকে হারিয়েছেন। শুভদীপকে নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো এক নিমেষে ভেঙে চুরমার। এখন ছেলেহারা মায়ের দিন কাটে শুভদীপের স্মৃতিটুকু আঁকড়ে। এই স্মৃতিটুকুই এখন সম্বল তাঁর। ছেলের স্মৃতি আকড়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছেন মা রঞ্জনা রায়। ছেলের মৃত্যুর তদন্তে পুলিশের ভূমিকায় একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। ৪ তারিখ শুভদীপ মারা যায়। আত্মহত্যা করে। শুভদীপের পিএইচডি গাইড ফোন করে বলেন অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। ৮ এপ্রিল তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। কেন চার দিন পরে ফরেনসিক পরীক্ষা হল? এখনও কেন গ্রেফতার করা হল না?কাঁদতে কাঁদতে প্রশ্ন মায়ের।

মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য়ের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর কাতর আর্জি। ছেলে তো ফিরবে না, অন্তত ন্যায় বিচারটুকু হোক। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠিও লিখেছেন রঞ্জনা রায়। উল্লেখ্য, আইজারের গবেষক পড়ুয়া শুভদীপ রায় মৃত্যুর সময় একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছিলেন। তাতে নাম রয়েছে শুভদীপের পিএইচডি গাইড অধ্যাপক চিরঞ্জীব মিশ্রের। শুভদীপের মৃত্যুর জন্য ওই পিএইচডি গাইডের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠছিল। রঞ্জনা দেবীও এর আগে TV9  বাংলাকে বলেছিলেন, “ওর মৃত্যুর জন্য সুইসাইড নোটে যাকে দায়ী করে গিয়েছে, যার জন্য এতটা কষ্ট পেতে পেতে খাদের কিনারায় চলে গিয়ে এবং নিজের জীবনকে শেষ করে দিতে হয়েছে, আমি তাঁর শাস্তি চাই।”

শুভদীপের মা এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, অধ্যাপক চিরঞ্জীব মিশ্র তাঁর রিসার্চ ল্য়াবরেটরির সমস্ত দায়িত্ব শুভদীপের উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। শুভদীপকে দিয়েই ল্যাবরেটরির সব কাজ করাতেন। সেই সঙ্গে জুনিয়রদের সব কাজও দেখাশোনা করতে হত তাঁকে। অধ্যাপক চিরঞ্জীব মিশ্র নাকি শুধু নামেই ল্যাবরেটরির সুপারভাইজার ছিলেন, কিন্তু সব কাজ রঞ্জনা দেবীর ছেলেকেই করতে হত।

আরও পড়ুন : Amit Slams Mamata: ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে’ নেই বাংলা, অংশ না নেওয়ায় নাম না নিয়ে মমতাকে খোঁচা অমিতের