Recruitment Scam: মাস্টারমাইন্ড কে? কার নির্দেশে এসব? উঠে এল বড় রাজনৈতিক প্রভাবশালীর নাম… পার্থর মামলায় এতদিনে আদালতে সবটা জানাল CBI
Recruitment Scam: সিবিআই-এর তরফ থেকে আইনজীবী এদিন আদালতে পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, এখনও তদন্ত চলছে। যে সমস্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের নাম তাঁরা পেয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা বাকি। এই পরিস্থিতিতে যদি জামিন দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যহত হবে বলেও জানান আইনজীবী।

কলকাতা: প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই-এর র্যাডারে একের পর এক রাজনৈতিক প্রভাবশালী। যাঁদের সুপারিশে অযোগ্যদের চাকরি হয়েছে। এবার সেই সমস্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই। পার্থর জামিনের শুনানিতে জানালেন সিবিআই আইনজীবী।
সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, বিকাশভবনের ওয়ার হাউজ় থেকে পাওয়া প্রাথমিকে ফেল করা ৩২১ জন প্রার্থীর একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের নামের উল্লেখ রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে আদালতে দাবি সিবিআইয়ের।
বৃহস্পতিবারের বিশেষ আদালতে শুনানিতে সিবিআই-এর তরফে দুটি নতুন তথ্য সামনে আনা হয়। এই প্রথম সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই OMR শিট নষ্ট করা হয়েছিল। দ্বিতীয় আরও একটি বিষয়, বিকাশ ভবনের ওয়ার হাউজ থেকে ৩২১ জন প্রার্থীর যে তালিকা তাঁরা পেয়েছিলেন, তাতে বহু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম পান। যাঁরা রেকমেন্ড করেছিলেন পার্থকে, যাতে তাঁদের প্রার্থীদের চাকরি হয়ে যায়। অর্থের বিনিময়ে সেই সুপারিশ কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই-এর তরফ থেকে আইনজীবী এদিন আদালতে পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, এখনও তদন্ত চলছে। যে সমস্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের নাম তাঁরা পেয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা বাকি। এই পরিস্থিতিতে যদি জামিন দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যহত হবে বলেও জানান আইনজীবী।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এখন রাজসাক্ষী যে সমস্ত তথ্য দিয়েছেন, সেই তথ্য বার করার জন্য সিবিআই-এর যে তৎপরতার প্রয়োজন রয়েছে, সেটা দেখাতে সিবিআই প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়। এখন যখন বলছেন, তথ্য সামনে আনুক।”
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য রাজসাক্ষী হয়েছেন ইডি-র মামলায়। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি-র মামলাও এখন বিচার পর্যায়ে রয়েছে। ইডি-র কাছে ইতিমধ্যেই গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। ইডি ও সিবিআই- একই মামলায় তদন্ত করছে। ফলে দুটোর তদন্তপ্রক্রিয়াও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাধারণত এক্ষেত্রে অপর এজেন্সিও রাজসাক্ষীর দেওয়ার গোপন জবানবন্দি সংগ্রহ করে। সিবিআই-ও তাই ইডি-কে দেওয়া কল্যাণময় ভট্টাচার্যের জবানবন্দি সংগ্রহ করতে পারে।





