কলকাতা: ‘থ্রেট কালচার’ রুখতে কড়া আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১১ জনকে ডেকে পাঠানো হল শনিবার। হাসপাতালে ধমক-চমকের ‘দাদাগিরি’ করার অভিযোগ উঠেছিল ৫১ জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের কেউ চিকিৎসক, কেউ হাউজ স্টাফ, কেউ আবার ইন্টার্ন।
মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ৫১ জনকে চিহ্নিত করা হয়। থ্রেট কালচারের তদন্তে অভ্যন্তরীণ কমিটিও গড়া হয়। সেইমতোই শনিবার ১১ জনকে ডেকে পাঠায় তদন্ত কমিটি। জুনিয়রদের হুমকি দিয়ে হাসপাতালে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
আরজি করের পিজিটি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের পরই মেডিক্যাল কলেজের ভিতর স্লোগান উঠেছিল, ‘থ্রেট কালচারের গালে গালে, জুতো মারো তালে তালে’। ধীরে ধীরে সামনে আসে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। একদল ‘প্রভাবশালী’ চিকিৎসক বিভিন্ন সময়ে জুনিয়রদের ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে নিজেদের বশে রাখার চেষ্টা করত। লক্ষ্য ছিল, ভয়-ভীতির পরিবেশ জিইয়ে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম রাখা।
এরপরই ৫১ জনের নাম সামনে আসে। তাঁরা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ ওঠে। কাউন্সিলের বৈঠকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ৫১ জন সন্দীপ ঘোষের হয়ে আরজি করে থ্রেট কালচার তৈরি করেছিলেন। তাঁদের কেউ সিনিয়র রেসিডেন্ট, কেউ রিসার্চ সায়েন্টিস্ট মেডিক্যাল, কেউ কেউ হাউজ স্টাফ, কেউ বা ইন্টার্ন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন এদিন দুপুরে হাজির হন।
এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “৫১ জনের নাম ছিল। চারটে প্রোটোকল আমরা মানছি। যা অভিযোগ আসছে, সবই গ্রহণ করা হচ্ছে। তারপর খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর কয়েকজনকে ডাকা হয়েছে। তদন্ত কমিটির যা রেকমেনডেশন থাকে আমাদের জানাবে, কলেজ কাউন্সিলের মিটিংয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত হবে।”