RG Kar Murder: ব্লু টুথের কামাল! আরজি করের অপরাধীকে ধরে ফেলল পুলিশ
RG Kar Murder: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন নির্যাতিতার নাইট ডিউটি ছিল। মধ্যরাতে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা একসঙ্গে নীরজ চোপড়ার খেলা দেখেন। তারপর রাত্রিবেলা সেমিনার হলে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এরপর মধ্যরাতে মদ্যপান করে হাসপাতালে প্রবেশ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি
কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আরও তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে সেমিনার হলে তিন-চারজনকে যেতে দেখা গেলেও এদের মধ্যে কে অভিযুক্ত তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। এ দিকে, ততক্ষণে মৃতদেহর পাশ থেকে পুলিশ একটি হেডফোন খুঁজে পায়। কিন্তু সেটা কার তখনও বুঝে উঠতে পারেননি আধিকারিকরা। তবে সেই হেডফোনটি অন করতেই সিঙ্ক হয়ে যায় অভিযুক্তের ফোনের সঙ্গে। বাকিটা আর বুঝতে বাকি থাকে না আধিকারিকদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন নির্যাতিতার নাইট ডিউটি ছিল। মধ্যরাতে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা একসঙ্গে নীরজ চোপড়ার খেলা দেখেন। তারপর রাত্রিবেলা সেমিনার হলে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এরপর মধ্যরাতে মদ্যপান করে হাসপাতালে প্রবেশ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। সাড়ে চারটের পর বেরিয়ে যায় সে। তারপরও মদ্যপান করে। অভিযুক্তের সেই যাতায়াতের ছবি সিসিটিভি ফুটেজে পায় পুলিশ।
তবে তদন্ত চলাকালীন আধিকারিকদের প্রথম বেগ পেতে হয়। কারণ, ওই সিসিটিভি ফুটেজে আরও তিনজনকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারে তারা তিনজন রোগীর আত্মীয়। এরা প্রত্যেকেই যে সত্যি বলছে তাও নিশ্চিত হয় পুলিশ। বাকি রইল অভিযুক্ত ব্যক্তি। আর তাকে ধরিয়ে দিতে সাহায্য করল তারই হেডফোন। ঘটনাস্থলে পুলিশের হাতে লাগে সেই ব্লু টুথ হেডফোন। মৃতার পরিবারের লোক জানায়, ওই হেডফোনটি তাঁদের মেয়ের নয়। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া নেকব্যান্ড হেডফোনটি অভিযুক্তের ফোনের সঙ্গে কানেক্ট হয়ে যায়। বাকিটা আর বুঝতে বাকি থাকে না। তবে শুধু হেডফোনই নয়, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ার লোকেশনও মেলে। অত রাত্রে সে কী কারণে সেমিনার হলের কাছাকাছি গিয়েছিল তা জানতে চায় পুলিশ। তবে তার জবাবে মেলে বিস্তর অসঙ্গতি।