Ritesh Tiwari: ‘রাজ্য বিজেপিকে ধ্বংস করছেন অমিতাভ-মালব্যরা’, আরও চাঁচাছোলা রীতেশ
West Bengal BJP: বিজেপি নেতা একরাশ অভিমান নিয়ে বলেছেন, "আমাকে সরানোর পেছনে ষড়যন্ত্র কাজ করছে। আগে যারা পার্টিকে প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের সরানোর অভিসন্ধি কাজ করছে।"
কলকাতা: শোকজ করার পরেও সামলানো যাচ্ছিল না বিক্ষুব্ধ নেতাদের। দুই নেতারই ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, কারও মধ্যেই শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য় কোনও তাড়াহুড়ো নেই। এই খবর প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রীতেশ তিওয়ারি (Ritesh Tiwari) এবং জয়প্রকাশ মজুমদারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিজেপি (West Bengal BJP)। আর এরপরই ফের বোমা ফাটিয়েছেন রীতেশ। তাঁর বক্তব্য, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এ ক্ষেত্রে লড়াইটা যে আদি বিজেপি বনাম নব্য বিজেপি – সেই কথাও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন তিনি। রীতেশের কথায়, আগে যারা পার্টিকে প্রতিষ্ঠা করেছে, তাদের সরানোর অভিসন্ধি কাজ করছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি যুক্ত নন বলেই মনে করছেন বিক্ষুব্ধ নেতা। রবিবারই রীতেশ জানিয়েছিলেন, ‘আমি জানি এসবের পিছনে নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কোনও হাত নেই।’ তাহলে কাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন রীতেশ?
‘বিজেপিকে কখনোই তৃণমূলের বি টিম হতে দেওয়া যাবে না’
বিজেপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর বিজেপি নেতা একরাশ অভিমান নিয়ে বলেছেন, “আমাকে সরানোর পেছনে ষড়যন্ত্র কাজ করছে। আগে যারা পার্টিকে প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের সরানোর অভিসন্ধি কাজ করছে। এরা বিজেপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, ২০১৯ সালে পার্টিতে এসেছে। এরা কেউ দলের নেতা নয়। এরা তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছে। তৃণমূলের বি টিম হয়ে কাজ করছে। বিজেপিকে কখনোই তৃণমূলের বি টিম হতে দেওয়া যাবে না।” অর্থাৎ, বিক্ষুব্ধ নেতাদের প্রত্যেকেই রীতেশ তিওয়ারি হোন বা জয়প্রকাশ মজুমদার কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর – তাঁরা কেউই বিজেপি ত্যাগের কথা বলছেন না। বরং, প্রতি মুহূর্তে এটাই বুঝিয়ে দিতে চাইছেন – তাঁরা বিজেপিরই অঙ্গ। দলেরই রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।
অভিযোগ অমিতাভ-মালব্য জুটির দিকে
এক্ষেত্রে সরাসরি অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন রীতেশ। তাঁর বক্তব্য, “অমিতাভ চক্রবর্তী ও অমিত মালব্য বিজেপিকে যে ধ্বংস করতে চাইছে তার উত্তর বুথ স্তরের বিজেপি কর্মীরা দেবে। এরা তৎকাল বিজেপি। এরা কতদিন থাকবে তার ঠিক নেই। এরা দলের কোনও নেতাই নয়। লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে হচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি ক্ষমতা থাকলে অমিতাভ চক্রবর্তী আপনার বিল্ডিং থেকে নেমে ৫ জন কর্মীকে নিয়ে পথসভা করে দেখান। এরা সুসময়ে মধু খেতে এসেছে। আমি দেখব ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের সময় এরা কোথায় থাকে?”
আরও পড়ুন : Tathagata Roy : ‘খারাপ সময়ের নেতা, ক্ষমতার স্বাদে পার্টিতে আসেনি’, তথাগতর রীতেশ-পক্ষ
আরও পড়ুন : Cyber Crime: অজানা লিঙ্ক, আচমকা ভিডিয়ো কল, এসবেই লুকিয়ে আছে প্রতারণার ফাঁদ, কী ভাবে বাঁচবেন?