RS Virus: কোভিডের মতোই নতুন ভাইরাস বাংলায়, শিশুমৃত্যু নিয়ে কী বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

Fever: শিশুদের এই জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের হাতে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। করোনা আবহে দাপট বেড়েছে আরেক ভাইরাস রেসপিরেটরি সিনসাইটালের।

RS Virus: কোভিডের মতোই নতুন ভাইরাস বাংলায়, শিশুমৃত্যু নিয়ে কী বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
শিশুদের এই জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের হাতে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 10:55 AM

কলকাতা: জ্বরের (Unknown Fever) আতঙ্কে কাঁপছে রাজ্য। এখনও পর্যন্ত ১৪ জেলায় জ্বরে আক্রান্ত কমপক্ষে দেড় হাজার শিশু। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সূত্রের খবর, এখনও অবধি রাজ্যে জ্বরের বলি হয়েছে ১২ জন শিশু। এর মধ্যে চারজন জলপাইগুড়ির, সাতজন মালদহের এবং একজন রায়গঞ্জের। জ্বর নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়াতেও। প্রথম দিকে এই জ্বরের কারণ অজানা বলা হলেও, এখন জানা হচ্ছে সংক্রমণের পিছনে আরএস ভাইরাস (Respiratory Syncytial Virus), ইনফ্লুয়েঞ্জা ও স্ক্রাব টাইফাসের ত্রিফলা কাজ করছে।

শিশুদের এই জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের হাতে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। করোনা আবহে দাপট বেড়েছে আরেক ভাইরাস রেসপিরেটরি সিনসাইটালের। যা এই মুহূর্তে আরএস ভাইরাস হিসাবেই মুখে মুখে ফিরছে। সরাসরি না হলেও করোনার একটা পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে এই আরএস ভাইরাসের দাপটের পিছনে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিকের কথায়, “করোনা আর এই আরএস ভি এগুলি কিন্তু প্রায় একই রকম উপসর্গ নিয়ে হাজির হয়। যে কারণে করোনা ছড়িয়ে পড়ে, এই ভাইরাসও কিন্তু সেই সেই পথ ধরেই ছড়িয়ে পড়ে। তাই যখন বিশ্বজুড়ে করোনা একটা আতঙ্কের অবস্থা তৈরি করেছিল তখন স্বভাবতই সকলে করোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অন্য রোগগুলি ততটা গুরুত্ব পায়নি, এটাই বাস্তব। কিন্তু এখন খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে সারা পৃথিবীতে এখন এরকম নিত্য নতুন উপসর্গযুক্ত রোগের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। তবে আশার কথা, অজানাকে জানার জন্য যে পরীক্ষানিরীক্ষা তাতে দেখা গিয়েছে এর মধ্যে মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী কোনও জীবাণুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সে কারণেই এটাকে আরএস ভাইরাস বলছে। এটা অনেকটা ইনফ্লুয়েজ্ঞার মতো। তিন থেকে পাঁচদিন একটা প্রকোপ থাকে। মারাত্মক রূপ নেয়।”

এই আরএস ভাইরাস নতুন নয়। তবে এ বছর জুন জুলাইয়ে সারা বিশ্বেই এর দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিতেও এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। গত বছরগুলির তুলনায় এই ভাইরাসের ক্ষমতাও আরও মারাত্মক হয়েছে।

বাইরের দেশগুলিতে এই ভাইরাসের যে চেহারা, তার সঙ্গে বাংলার ভাইরাসের মিল খুঁজে পাচ্ছেন এ রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কোথায় মিল? প্রথমেই সময়ের অনেক আগেই এ রাজ্যেও আরএস ভাইরাসের আক্রমণ হচ্ছে। জাপান, আমেরিকাতে এই ভাইরাস বসন্তে বাড়ত, এখন জুন জুলাইয়ে হচ্ছে। বাংলাতেও শীতকালে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যেত, এখন সেটা অগস্ট সেপ্টেম্বরে দেখা যাচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, যাদের শরীরে অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ রাজ্যেও এই ভাইরাস মারাত্মক চেহারা নিচ্ছে। কারণ হিসাবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে আরএসভির সে অর্থে কোনও টিকা নেই। বাচ্চাদের ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে তার প্রভাব শরীরে ততটা জোরাল না হলেও, আরএসভি প্রাণঘাতীও হয়ে উঠছে।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ বলেন, “আমরা উত্তরবঙ্গে দেখতে পাচ্ছি হঠাৎ করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কোভিডের পর বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসের যে প্রভাব দেখা দিয়েছে তারই অঙ্গ হিসাবে এ রাজ্যেও কিন্তু এত বাচ্চা অসুস্থ হচ্ছে।”

আরএস ভাইরাস কী?

শ্বাসযন্ত্রের সিনসাইটাল ভাইরাস। কাশি বা হাঁচির পরে ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণত শীতকালে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে। অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই আরএস ভাইরাস। শিশুরাই সংক্রমিত হয় বেশি।

আরও পড়ুন: Medinipur: কোলের ছেলে নিয়ে দোরে বসে মা, হঠাৎই ঝুপ করে শব্দ… পিছন ঘোরার আগেই সব শেষ!