Medinipur: কোলের ছেলে নিয়ে দোরে বসে মা, হঠাৎই ঝুপ করে শব্দ… পিছন ঘোরার আগেই সব শেষ!
Flood Situation: গত কয়েকদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি জেলাজুড়ে। বাড়ির সামনে হাঁটু জল, বহু ঘরও ভেসে গিয়েছে প্লাবনে।
মেদিনীপুর: কখনও গভীর নিম্নচাপ, কখনও আবার শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত। গত কয়েকদিনে জলযন্ত্রণায় (Flood Situation) নাকাল মেদিনীপুরের ঘাটাল, খড়গপুর-সহ একাধিক এলাকা। শনিবারও বৃষ্টি হয়েছে জেলায়। রবিবারও বৃষ্টির (Weather Forecast) পূর্বাভাস রয়েছে। এই প্রবল বৃষ্টিতে শুধু যে পথেই বিপদ, তেমনটা নয়। ঘরে বসেও প্রাণ যাচ্ছে! শনিবারই অতি ভারী বৃষ্টির জেরে ডেবরায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক শিশুর।
গত কয়েকদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি জেলাজুড়ে। বাড়ির সামনে হাঁটু জল, বহু ঘরও ভেসে গিয়েছে প্লাবনে। এরই মধ্যে শনিবার বেলা ২টো নাগাদ ডেবরা ব্লকের ভরতপুরের পশ্চিম বৈতায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি মাটির বাড়ির একাংশ। ঘরে তখন শুয়ে ছিল চার বছরের ছোট্ট নীল হেমব্রম। ঘরের দেওয়ার চাপা পড়েই মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয়রা জানান, ঘরে নীল ও তাঁর ভাই শুয়েছিল। ছোটজনকে মা কিছুক্ষণ আগেই তুলে নিয়ে যায়। নীল তখনও ঘরেই শুয়েছিল। মা দরজার সামনে ছোট ছেলে কোলে বসে। হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে কী একটা ভেঙে পড়ার শব্দ পান। পিছন ফিরতেই দেখেন ঘরের দেওয়াল ধসে পড়েছে। এদিকে তখন মাটিতেই শুয়েছিল নীল। চাপ পড়ে যায় সে। ছোট্ট চার বছরের শিশু। এ ভাবে দেওয়াল ভেঙে পড়ায় কোনও ভাবেই আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। মা উঠে যাওয়ার সময়টুকুই পাননি, তার আগেই সব শেষ।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। হুমায়ুন কবীর বলেন, “গত ১৩-১৪ তারিখ থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গোটা এলাকাই জলে ডুবে ছিল। এত বৃষ্টির ফলে মাটির দেওয়ালগুলো আলগা হয়ে গিয়েছে। এই বাড়িতেও একই অবস্থা হয় দেওয়ালের। এরই মধ্যে ঘরে শুয়েছিল একটা বাচ্চা। নাম নীল হেমব্রম। বাবার নাম নারায়ণ হেমব্রম। গত নভেম্বরেই ওর চার বছর বয়স হয়েছে। খেয়ে শুয়েছিল ঘরে। হঠাৎই দেওয়ালটা পড়ে যায়।”
হুমায়ুন কবীর সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমি এসডিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। ডিএম, বিডিওকে মেসেজ পাঠিয়েছি। দু’ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার একটা সহযোগিতা পাওয়া যায় সরকারের তরফে। সেটার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করব।”
আরও পড়ুন: Bhawanipore By-Election: ‘মমতা জিতলে, দেশ জিতবে’, দলনেত্রীর হয়ে প্রচারে নামলেন অভিষেক