AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

তৃণমূলের নতুন ‘যুব সভাপতি’ সায়নী ঘোষ

বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়েছিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। এ বার দলীয় পদে আনা হল তাঁকে।

তৃণমূলের নতুন 'যুব সভাপতি' সায়নী ঘোষ
সায়নী ঘোষ।
| Updated on: Jun 05, 2021 | 4:21 PM
Share

কলকাতা: নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় অনেক সময়েই নতুন মুখকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে এবার দলীয় সংগঠনেও নতুন মুখকে জায়গা দিলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerhee)। একদিকে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সর্বভারতীয় পদে নিয়ে যাওয়া হল, তখন তাঁর ছেড়ে যাওয়া যুব তৃণমূল সভাপতি পদে আনা হল সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh)।

অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের  রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই। তৃণমূলে যোগ দিয়েই আসানসোলের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ভোট প্রচারেও নজর কেড়েছিলেন সায়নী। দক্ষিণ আসানসোল কেন্দ্রে পড়ে থেকে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। তবে ওই আসনে তিনি হেরে যান অগ্নিমিত্রা পালের কাছে।

অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আগেও ঘাসফুল শিবিরের টিকিটে ভোটে লড়েছেন। সাংসদ, বিধায়ক পদে রয়েছেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। তাপস পাল, দেবশ্রী রায় থেকে শুরু করে মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, দেব কিংবা সন্ধ্যা রায়- এরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সাংসদ বা বিধায়ক পদে থাকলেও এদের মধ্যে কাউকে সাংগঠনিক পদ দেওয়ার নজির নেই। তাই সায়নীকে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: জাতীয় স্তরে উত্তরণ অভিষেকের, ছাড়লেন যুব তৃণমূল সভাপতির পদ

এ বার নির্বাচনেও সেলেব্রিটি মুখের ছড়াছড়ি দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, অদিতি মুন্সি, লাভলি মৈত্ররা। লড়াই করে জয়ী হতে পারেননি সায়নী। এ বার তাঁকেই এই বিশেষ পদের জন্য বেছে নিলেন মমতা। এই পদ এত দিন সামলেছেন মমতার ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শুভেন্দু অধিকারীও এই পদ সামলেছেন। তাই রাজনৈতিক দিক থেকে এই পদ বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তা বলাই যায়। সূত্রের খবর, আপাতত অভিষেকের সঙ্গে আলোচনা করেই এই পদ সামলাতে বলা হয়েছে সায়নীকে। তাঁর মতো জনপ্রিয় মুখকে সাংগঠনিক পদে এনে তৃণমূলের যুবশক্তিকে আরও পোক্ত করতে চাওয়া হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।