জাতীয় স্তরে উত্তরণ অভিষেকের, ছাড়লেন যুব তৃণমূল সভাপতির পদ

তাঁর জায়গায় নতুন যুব তৃণমূল সভাপতি হচ্ছেন সায়নী ঘোষ। যা  ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। মনে রাখতে হবে, একসময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুকুল রায়।

জাতীয় স্তরে উত্তরণ অভিষেকের, ছাড়লেন যুব তৃণমূল সভাপতির পদ
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Jun 05, 2021 | 4:16 PM

কলকাতা: জল্পনা আগে থেকেই ছিল। সেই মতো ছিল সম্ভবনাও। মনে করা হচ্ছিল, বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের সাফল্যের পর সংগঠনে বড় পদ পেতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জল্পনায় অবশেষে সিলমোহর পড়ল। শনিবার তৃণমূলের মেগা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেন, যুব তৃণমূল সভাপতি থেকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হতে চলেছেন অভিষেক। সূত্রের খবর, তাঁর জায়গায় নতুন যুব তৃণমূল সভাপতি হচ্ছেন সায়নী ঘোষ। যা  ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। মনে রাখতে হবে, একসময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুকুল রায়। তিনি তৃণমূল ত্যাগের পর থেকে সেই পদে আর কেউ আসেননি। এ বার অভিষেকের অভিষেক হতে চলেছে সর্বভারতীয় পদে।

২০২১-এর নির্বাচনে মোদীর বিজয় রথকে রুখে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনের বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। আর তারপরই প্রতীক্ষিত ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। যেখানে মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোটের মুখ হিসেবে মমতাকেই তুলে ধরতে চায় দেশের বহু রাজনৈতিক দল। এ হেন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামিদিনে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যস্ত হলে সংগঠন এবং বাংলার হাল ধরবার জন্য ভরসাযোগ্য মুখ দরকার। এ ক্ষেত্রে অভিষেকের বিকল্প নেই বলেই মানছে তৃণমূল শিবির। কারণ একুশের নির্বাচনে বিরাট ভূমিকা নিয়েছিলেন অভিষেক। একুশের ভোটে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং গোটা দেশের বিজেপি নেতাদের ‘ভাইপো’ খোঁটা অতিক্রম করে তিনি যে রাজনৈতিক পরিপক্কতা দেখিয়েছেন, তাতে দলের মূল সংগঠনে বড় পদ পাওয়া ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: তৃণমূলের নতুন ‘যুব সভাপতি’ সায়নী ঘোষ

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিষেক এতদিনে এসে সরকারিভাবে জাতীয় পদ পেলেও দলের অভ্যন্তরে তাঁর প্রভাব ছিল অনেকদিন থেকেই। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে আসাও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। তবে যে সময়ে তিনি এই দায়িত্ব পেয়েছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একুশের ভোটের আগে যারা যারা দলত্যাগ করেছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগ নেতারাই আঙুল তুলেছিলেন এই অভিষেকের দিকে। কিন্তু রাজনীতিতে শেষ কথা বলে ভোটের  ফলাফল। বিধানসভা ভোটের ফলাফলই স্পষ্টত দেখিয়ে দিয়েছে, দলে যে সংস্কারগুলি অভিষেক করেছিলেন তা মানুষ গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে এমন একটা সময়ে তাঁকে জাতীয় উন্নিত করা হল, যখন তাঁর দিকে কারোর আঙুল তোলার অবকাশ থাকবে না।

আরও পড়ুন: আচমকা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন সৌমিত্র খাঁ, বাড়ছে জল্পনা