Sandip Ghosh: তিলোত্তমার মৃত্যুতে ‘ঘুম’ ভাঙল রাজ্যের! শেষমেশ বড় পদক্ষেপ সন্দীপের বিরুদ্ধে
RG Kar: আইজি প্রণব কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সিটের অন্য তিনজন সদস্য ওয়াকার রেজা। ডিআইজি মুর্শিদাবাদ। আইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। ২০২১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক অনিয়মের তদন্ত করবে এই দল।
আইজি প্রণব কুমারের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সিটের অন্য তিনজন সদস্য ওয়াকার রেজা। ডিআইজি মুর্শিদাবাদ। আইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। ২০২১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক অনিয়মের তদন্ত করবে এই দল।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠছে এমনটা নয়। এর আগে অর্থাৎ গত একবছর ধরে আরজি করে সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ থাকাকালীন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২৩ সালে ডেপুটি সুপার নন মেডিক্যাল আখতার আলি ভিজিল্যান্সে চিঠি করেন। স্বাস্থ দফতরের ভিজিল্যান্স বিভাগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শাসকদলের এক নেতা আলাদাভাবে সন্দীপের বিরুদ্ধে চিঠি লেখেন। জানা যায়, স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষ কর্তার দফতরের তরফে সেই ফাইলও পৌঁছয় প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে পৌঁছেছিল। তাহলে এতদিন পর আজ কেন সিট গঠন হল?
এরপর আরজি কর-আন্দোলনে দেখা গেল সন্দীপবাবু অধ্যক্ষ পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইস্তফা দিয়েছেন। তবে রাজ্য সরকার সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেনি। পরে হাইকোর্টে গুঁতো খেয়ে তাঁকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার থেকে যখন সন্দীপ ঘোষ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে, তখন সিট গঠন করা হয়েছে। তবে এই অর্ডার ১৬ অগস্ট দেওয়া হলেও, ১৯ তারিখ অর্থাৎ সোমবার তা প্রকাশ্যে এল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আজই আবার কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা যায়, তিনি আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে বিশেষ কিছু তথ্য সিবিআই-কে দিতে চান। এখানেই শেষ নয়! সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সিবিআই সন্দীপের বিরুদ্ধে কী কী আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার নথি চেয়েছে। আর সেই নথি স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়ারও প্রস্তুতি শুরু করেছে তার মধ্যেই এই সিট গঠন।
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,”এটা রাজ্য সরকারের আরও একটা বদ বুদ্ধির প্রকাশ। এখন যেহেতু সিবিআই এই নিয়ে তদন্ত করছে, অনেক প্রশ্ন উঠছে। সেটাকে ধামাচাপা দিতেই রাজ্যের এটা পরিকল্পনা।”