Justice Abhijit Gangopadhyay: হামলাকারীরা ভারতের নাগরিক তো? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Justice Abhijit Gangopadhyay: এদিন সকালে সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি। মার খেয়ে ফিরে আসতে হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের। হামলা হয় সংবাদমাধ্যমের উপরেও। ঘটনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Justice Abhijit Gangopadhyay: হামলাকারীরা ভারতের নাগরিক তো? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
ফের কড়া প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2024 | 11:43 PM

কলকাতা: ‘রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে, এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? যদি তদন্তকারীরা মার খান, তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে?’ সন্দেশখালির ঘটনার পর সকালেই এ মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাতে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে আহত ইডি আধিকারিকদের দেখতে এসে আবার দিলেন ক্ষোভ উগরে। সাফ বললেন, “পুলিশের উপর ভরসা আছে। পুলিশ পরিচালনার উপর ভরসা নেই। পুলিশকে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হচ্ছে। পুলিশকে হাত খুলে কাজ করতে দিলে, দুর্বৃত্তদের সহজেই উড়িয়ে দেওয়া যাবে।”

প্রসঙ্গত, এদিন সকালে সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি। মার খেয়ে ফিরে আসতে হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের। হামলা হয় সংবাদমাধ্যমের উপরেও। ঘটনা দেখে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। গুরুতর আহত অবস্থায় সকালেই সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে আনা হয় ইডির অফিসারদের। এদিন সন্ধ্য়ায় সেখানেই তাঁদের দেখতে আসেন বিচারপতি। কেমন আছেন ইডির অফিসাররা? 

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গুরুতর আহত। দুজনের মাথায় ভয়ঙ্কর চোট। একজন আইসিইউতে। দুজন জেনারেল বেডে। পরিকল্পনা করে মেরেছে। আমি এসেছি, আমার কোর্ট থেকেই আদেশ দেওয়া হয়। যদি কেউ মনে করে দুর্নীতি হয়নি, তার উচিত সহযোগিতা করা। উচিত এজেন্সিকে সাহায্য করা। কোর্টে কোর্টে না দৌড়ে। অফিসারদের উপর টেররাইজ করে দুর্নীতি আটকানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” এরপরই তিনি বলেন, “শাহজাহান এতই সাহসী, বাড়িতে থাকতে পারেনি। ইডির ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি আদালতের জন্য যতটা প্রকাশ্যে এসেছে তার চেয়ে বেশি এসেছে মিডিয়ার জন্য। শেখ শাহজাহান রাত বারোটার মধ্যে ইডি অফিসে হাজিরা দেবে বলে আমি আশা করি।”

এরপরই রাজ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ করতে দেখা যায় বিচারপতিকে। রীতিমতো উদ্বেগের সুরে বলেন, এই রাজ্যে সাংবিধানিক অবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। চিন্তিত স্বরেই তাঁর প্রশ্ন, “যাদের লেলিয়ে দেওয়া হল মারার জন্য, তারা ভারতবর্ষের নাগরিক তো? নৌকা করে আসেনি তো?”

নাম না করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেউ তাঁকে প্রার্থী করার প্রলোভন দেখিয়েছে কি না, জানি না। এইরকম মন্তব্য না করে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়ুন। মানুষ যদি আপনাকে বিজয়ী করে, তাহলে আমিও গিয়ে স্যালুট জানিয়ে আসব।”