BJP on GST: দাম কমেছে কি না দেখতে বাজারে বেরলেন শমীক ভট্টাচার্য
New GST Rate: ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করছেন শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদাররা। ডিপিতে লেখা 'কমল জিএসটি, মিলল উপহার। ধন্যবাদ মোদী সরকার।' কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে যে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।

কলকাতা: সোমবার থেকে নতুন হারে জিএসটি ধার্য করা হচ্ছে দেশ জুড়ে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সহ একাধিক পণ্যের দাম কমে গিয়েছে। বাজারে সে সব জিনিস সঠিকদামে বিক্রি করা হচ্ছে কি না, তা দেখতে রাস্তায় নামল খোদ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে পৌঁছে গেলেন বাজারে। কথা বললেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন নির্বাচনে এই জিএসটি হ্রাস যে বিজেপির হাতিয়ার হতে চলেছে, তা স্পষ্ট। শুধু বাজার পরিদর্শন নয়, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও চলছে সেই প্রচার।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটি হ্রাসের কথা ঘোষণা করেছিলেন আগেই। পুরনো নিয়ম বদলে এবার থেকে শুধুমাত্র ৫ ও ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে সেই নয়া হারের জিএসটি। এদিন সকালেই দেখা গেল, বঙ্গ বিজেপির নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ডিপি (প্রোফাইলের ছবি) বদলে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি,
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করছেন শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদাররা। ডিপিতে লেখা ‘কমল জিএসটি, মিলল উপহার। ধন্যবাদ মোদী সরকার।’ কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে যে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
বাগুইআটি বাজারে এদিন পৌঁছে যান শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “অন্তত ১৫০ জিনিসের দাম কমেছে। সাধারণ উপভোক্তারা এতে উপকৃত হবেন। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। মোদী সরকারের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এছাড়াও যারা বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, ছোট ছোট দোকানদার, সবার ক্ষেত্রেই বড় প্রভাব পড়বে।”
আর এক বিজেপি নেতা তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাঙালির উৎসবকে মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। মাতৃপক্ষ শুরু হওয়ার পর প্রায় ১৫০-র বেশি জিনিসের দাম কমে যাচ্ছে। দেশবাসীকে উপহার।” তবে তৃণমূল কোনও অবস্থাতেই জিএসটি হ্রাসের কৃতিত্ব বিজেপিকে দিতে রাজি নয়। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আন্দোলন তো করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকার বাধ্য হল। শেষ পর্যন্ত দেখলেন ভোট বেরিয়ে যাবে। তাই কমানো হয়েছে।” তৃণমূল নেতার কথায়, ‘আগেও কষ্ট ছিল, আজ হঠাৎ কষ্ট চোখে পড়ল।’
