ভরসন্ধেয় দমদমে পরপর তিনটে গুলি, লুটিয়ে পড়লেন সুমনা
Shootout at Dumdum: ষড়যন্ত্র করেই এই খুন করা হয়েছে বলে দাব তাঁর সহকর্মীদের। সন্ধে ৭ টার সময় গাড়িতে চেপে এসে একদল দুষ্কৃতী গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
কলকাতা: সন্ধে তখন ৭ টা। রবিবারের সন্ধেয় তুলনামুলকভাবে ফাঁকাই ছিল এলাকা। জলমগ্ন থাকার কারণেই বেশিরভাগ মানুষ বাড়ির ভিতরে ছিলেন। আর সেই সুযোগেই একটি বাইক থেকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুমনা ধর। সুমনা এলাকার তৃতীয় লিঙ্গের প্রধান ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সহকর্মীদের দাবি, অন্য এলাকার তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা সুমনার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করছিল, আর তার জেরেই এই ঘটনা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় নিমতা থানার পুলিশ। ভর সন্ধেয় এমন গুলি চালানোর ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসে সুমন ধরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁর পিঠে গুলি লাগে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সুমন। প্রথমে তাঁকে ঘোলা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় ও সেখান থেকে বারাসাতের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমনা ধরের শরীরে তিনটি গুলি লাগে। তবে কী কারণে গুলি চালানো হল, নিমতা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখছেন। ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি এলাকা ভাগাভাগি নিয়ে আক্রোশের জেরে গুলি, তার তদন্ত করছে নিমতা থানার পুলিশ। এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুমনার এক সহকর্মী পায়েল জানিয়েছেন, রবিবার সকালে সুমনার নিমন্ত্রণ ছিল। সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া করে সন্ধেয় বাড়ি ফিরছিলেন সুমনা। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। পায়েলের অভিযোগ, টিটাগড়ের তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা অনেকদিন ধরেই সুমনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল। পায়েলের দাবি, তারাই এই কাজ করেছে। পায়েল জানান, সুমনা বরাবর তৃতীয় লিঙ্গের সব মানুষের জন্য কথা বলতেন, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধায় নজর রাখতেন। এই ঘটনায় অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি চান পায়েল। আরও পড়ুন: ‘মায়ের বুকে মরা বাচ্চা ছুড়ে দিয়ে নার্স বলল কী হয়েছে দেখো!’, এগরা হাসপাতালে হুলুস্থুল