‘মায়ের বুকে মরা বাচ্চা ছুড়ে দিয়ে নার্স বলল কী হয়েছে দেখো!’, এগরা হাসপাতালে হুলুস্থুল

Egra Hospital: চিকিৎসক নাকি প্রসূতীকে পরীক্ষা করে জানান প্রসব হতে আরও এক মাস দেরি আছে। তবে প্রসূতির দেখভালের জন্য কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

'মায়ের বুকে মরা বাচ্চা ছুড়ে দিয়ে নার্স বলল কী হয়েছে দেখো!', এগরা হাসপাতালে হুলুস্থুল
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2021 | 11:56 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: প্রসূতির সঙ্গে ডাক্তার ও নার্সের দুর্ব্যবহার এবং মৃত সন্তান প্রসবকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা মহকুমা হাসপাতালে। এমনকি বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে সদ্যোজাতকে মেরে ফেলার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল রোগী পরিবার। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, এগরা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুহানা বিবি শনিবার রাতে তীব্র প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন এগরা মহকুমা হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক নাকি তাঁকে পরীক্ষা করে জানান প্রসব হতে আরও এক মাস দেরি আছে। তবে প্রসূতির দেখভালের জন্য কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

চিকিৎসকের কথা মতো প্রসূতিকে ভর্তি করা হয়। তার পর এদিন তীব্র প্রসব যন্ত্রণা ওঠে রোগীর। তাঁকে কষ্ট পেতে নার্স পরপর দুটি ইঞ্জেকশন দেন। আর তার পরেই নাকি মরা সন্তান প্রসব করেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ প্রসূতির মা শাকিলা বিবির। এখানেই শেষ নয়।

রোগী পরিবারের অভিযোগ, “চিকিৎসক বললেন, প্রসব হতে এক মাস দেরি আছে। তার পর কীভাবে এমন ভুল হয়!” এমনকি যন্ত্রণাকাতর প্রসূতিকে জল খেতে চাইলে তাঁর গালে চড় মারেন এক নার্স বলে অভিযোগ। তার পর নাকি মৃত সন্তান প্রসবের পর মায়ের কোলে ছুড়ে দিয়ে ওই নার্স বলেন তোমার কী হয়েছে দেখো!

প্রসূতির মা জানান, “শনিবার ভর্তি করা হয় রোগীকে। পরীক্ষা করার পর ডাক্তারবাবু বললেন এখন দেরি আছে (ডেলিভারির)। দু’চারদিন রেখেই ছেড়ে দেব। এক মাস দেরি আছে বাচ্চা হওয়ার। আজ হঠাৎ বলছে বাচ্চা হবে। তার পর জল খেতে চেয়েছিল মা। ডেলিভারির সময় তখন তাকে মারধর করা হয়। মায়ের বুকে মরা বাচ্চা দিয়ে বলল কী হয়েছে দেখ! বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে বাচ্চাকে মেরে দিয়েছে ওই নার্স।”

রবিবার এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয় এগরা মহকুমা হাসপাতালে। প্রসূতির পরিজনরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এগরা থানার পুলিশ। হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।

এদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চাননি। হাসপাতালের সুপার ডাক্তার রঞ্জন রায়কে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধনেনি। তবে অন্য এক চিকিৎসকের সংক্ষিপ্ত জবাব, ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।

তিনি যোগ করেন, “৩৭ সপ্তাহের নিচে হলে বাচ্চা অপরিণত থাকে। তখন বাচ্চার লাংসের ম্যাচুরিটির জন্য স্টেরয়েড দিতে হয়। আর একটা প্রসূতির ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। দুর্ঘটনাবশতঃ এই ঘটনা ঘটেছে। পোস্টমর্টেম হলে আসল মৃত্যুর কারণ জানা যেত।” আরও পড়ুন: দেখুন: বরের কাছে হার মানল বন্যা! বউ নিয়ে এলেন রাস্তায় নৌকো ভাসিয়ে 

Zika Band