কলকাতা: কেকে-এর মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। কলকাতায় রয়েছেন প্রয়াত গায়কের স্ত্রী-পুত্র ও কন্যা। এসএসকেএমে ময়নাতদন্তের পর শিল্পীর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি হচ্ছে। এই ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক টিম হোটেল ঘুরে দেখেছে।
প্রেক্ষাগৃহের অস্বস্তিকর পরিবেশ? নাকি হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ায় এই ঘটনা? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হৃদরোগ জনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে শিল্পীর।
বিস্তারিত পড়ুন : কেন পড়ে গেলে চেয়ার থেকে? অস্বস্তিই বা কেন? কেকে-র মৃত্যু নিয়ে কী বলছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা?
গান স্যালুটে কেকে-কে শেষ বিদায় জানাল কলকাতা। তাঁর কফিনবন্দি দেহ নিয়ে যাওয়া হল কলকাতা বিমানবন্দরে। বিকেল ৫ টায় বিশেষ বিমানে তাঁর নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে মুম্বইতে। সেখানেই হবে শেষকৃত্য।
বাঁকুড়ার সভা সংক্ষিপ্ত করেই কলকাতায় ছুটে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্র সদনে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছেছেন তিনি। বাবুল সুপ্রিয় সহ আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিল্পীকে।
রবীন্দ্র সদনে শায়িত কফিন-বন্দি শিল্পীর দেহ। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত রয়েছেন কেকে-র স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা। নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে রবীন্দ্র সদন চত্বর।
নজরুল মঞ্চে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মঙ্গলবারের ‘বিশৃঙ্খলা’র স্মৃতি। মঞ্চ শূন্য। গতকাল এই মঞ্চেই শেষ গান গেয়েছিলেন কেকে। গোছানো মানুষ ছিলেন। তাই তৈরি করে এনেছিলেন গানের লম্বা তালিকাও। কুড়িটি গান গাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। প্রতিটি গানই আইকনিক। সেই তালিকায় আপনাদের জন্য…
বিস্তারিত পড়ুন: প্রথম প্রেম থেকে বন্ধুত্ব… শেষ কনসার্টে কোন ২০টি গান গাইবে বলে ঠিক করেন কেকে?
তীব্রভাবে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। কেকে আসছেন, তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা লক্ষ্য করে কেকের মৃত্যুর আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন রূপঙ্কর। সেখানে নিজের কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন রূপঙ্কর। ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর কেকের মৃত্যু ঘটে। আর তারপরই রূপঙ্করকে ছিছিক্কার করতে শুরু করে বাংলার শ্রোতাগণ।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘কেকে কে ভাই? যে কোনও কেকের চেয়ে আমরা ভাল গান করি’, এই মন্তব্যের পর রূপঙ্করকে বয়কটের ডাক
কেমন ছিল অডিটোরিয়ামের পরিবেশ? কেন নির্ধারিত আসনের থেকে এত বেশি সংখ্যক শ্রোতা প্রবেশ করলেন ভিতরে? এই সব প্রশ্ন যখন সামনে আসতে শুরু করেছে তখন মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, ‘এই মৃত্যু নিয়ে কোনও বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। তাঁর কথায়, কার কখন মৃত্যু হবে, তা কেউ বলতে পারে না।
বিস্তারিত পড়ুন: Singer KK Death: ‘কখন হার্টটা বন্ধ হয়ে যাবে, কেউ বলতে পারে না’, কেকে-র মৃত্যু-বিতর্কে মুখ খুললেন মেয়র
মঞ্চে মেরেকেটে রয়েছে আড়াই হাজার দর্শকের আসন। কিন্তু অসমর্থিত সূত্র বলছে, নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢুকেছিলেন সাড়ে সাত হাজার দর্শক। পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকেছিলেন বহু জন। খুলে দেওয়া হয়েছিল মঞ্চের সাতটি দরজাও। অতিরিক্ত ভিড়, কাজ করছিল না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, তারই মধ্যে কেউ স্প্রে করেছিলেন রাসায়নিক স্প্রে, ধরে নেওয়া হচ্ছে, সেটি ফায়ার এক্সটিংগুইশর। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনায় বেশ কিছু তত্ত্ব সামনে আসছে। উঠে আসছে উদ্যোক্তাদের চরম অদূরদর্শিতা, চরম অব্যবস্থপনার অভিযোগ।
বিস্তারিত পড়ুন: Singer KK Death: KK-র মঞ্চে আড়াই হাজার ছাপিয়ে ৭ হাজার দর্শক, বিকল বাতানুকূল যন্ত্র; নেপথ্যে কি উদ্যোক্তাদের ‘উদাসীনতা’?
অনুষ্ঠানের মাঝেই শরীরে অস্বস্তিভাব অনুভব করেছিলেন তিনি। কার্যত মাঝপথেই অনুষ্ঠান থামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। গাড়িতে তাঁর প্রচণ্ড শীত করছিল। হাতে-পায়ে টান ধরছিল। ফেরার সময়ে গাড়িতেই ঠিক কী বলেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী কেকে- তা জানালেন তাঁর ছায়াসঙ্গী, ম্যানেজার রীতেশ ভাট। শিল্পীর ম্যানেজার বলেন, “আমার শো শেষ করেই হোটেলে পৌঁছেছিলাম। গাড়িতে ওঠার সময়েই তিনি বলেছিলেন, হাতে-পায়ে অদ্ভুত টান ধরছিল। ঠান্ডা লাগছিল তাঁর। আমাকে বললেন, এসি বন্ধ করে দিতে। আমি ওঁকে ধরেই হোটেলের ওপরে উঠি।”
বিস্তারিত পড়ুন: Singer KK Death: ‘হোটেলের রুমে সোফায় বসতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে যান, শীত লাগছিল ওঁর’, কী বললেন কেকে-এর ছায়াসঙ্গী?
পাঁচ তারা হোটেলে ঢুকেছে ফরেনসিক টিম। সিসিটিভি ফুটেজ আগেই সংগ্রহ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে হোটেলের শিফট ম্যানেজার ও কর্মীদের।
এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছল শিল্পীর দেহ। রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। মন্ত্রী বলেন, “আমাদের দায়িত্ব দেহ বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। “
‘শেষ দেখা দেখতে চাই’, কেকে-এর প্রয়াণে বাঁকুড়ার কর্মিসভা থেকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীর স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে তাঁর। দমদম বিমানবন্দরে গান সেলুট দেওয়া হতে পারে শিল্পীকে।
সিএমআরআই হাসপাতালে পৌঁছলেন কেকে-এর স্ত্রী-পুত্র ও কন্যা। হাসপাতালেই শায়িত রয়েছে কেকে-এর নিথর শরীর।
ভরা মঞ্চ। গান গাইতে উঠেছিলেন তিনি। গেয়েও চলেছিলেন একনাগাড়ে। কিন্তু সেই গানই যে তাঁর শেষ গান হয়ে উঠবে কেউ কি ভাবতে পেরেছিলেন। দুই সন্তান আর স্ত্রী কিছুতেই হিসেব মেলাতে পারছেন না। ঠিক যেমন হিসেব মেলাতে পারছেন না গায়ক উদিত নারায়ণ। কী করে হতে পারে এমনটা? কী করে আছে থেকে একটা মানুষ আচমকাই নেই হতে পারেন কিছুতেই বুঝতে পারছেন না শিল্পী।
বিস্তারিত পড়ুন Singer KK Death: দুঃখ দেয়নি, ক্ষতি করেনি, কারও সঙ্গে উনিশ-বিশ হয়নি মানুষটার: উদিত নারায়ণ
মঙ্গলবারের রাত তখন প্রায় ১২টা ছুঁয়েছে। খবরটা প্রথম টিভিনাইন বাংলার তরফেই পান সঙ্গীত জগতের আর এক নক্ষত্র শঙ্কর মহাদেবন। ‘কেকে মারা গিয়েছেন’ শুনতেই গলা ফাটানো অবাক চিৎকার ‘হোয়াট…’, ভেসে এল ফোনের অপর প্রান্ত থেকে। শঙ্কর চুপ। ফের জিজ্ঞাসা “আপনা কেকে? মানে আমাদের কেকে?” তাঁকে ‘হ্যাঁ’ বললেও কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না খবরটা। একটানা বলে চলেন, “আপনি ঠিক জানেন? কী বলছেন এসব? আমাদের কেকে? মানে সিঙ্গার কেকে? ও নেই! কী করে? হাউ? কী হয়েছে?”
বিস্তারিত পড়ুন: Singer KK Death: ‘আমাদের কেকে? হোয়াট! কী বলছেনটা কী’, খবর শুনেই আর্ত চিৎকার শঙ্কর মহাদেবনের
কেকে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালেই টুইটে তিনি করেছেন। বলিউড সিঙ্গারের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তিনি। তিনি লিখেছেন, “আমার সহকর্মী রাতভর চেষ্টা চালিয়েছেন, যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়। পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। যে কোনও রকম প্রয়োজনে আমরা সবরকম ভাবে পাশে রয়েছি।”
The sudden and untimely demise of the Bollywood playback singer KK shocks and saddens us. My colleagues have been working from last night to ensure that all requisite support is given for necessary formalities, his rites and to his family now. My deep condolences.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 1, 2022
কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র মৃত্যু কি অস্বাভাবিক? তাঁর মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই উঠে আসছে অনেকগুলি প্রশ্ন। এবার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই গায়কের মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। গায়কের মৃত্য়ুর ঘটনায় পাঁচ তারা হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন নিউ মার্কেট থানার তদন্তকারীরা। গভীর রাতে হোটেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে পুলিশ। অভিযোগ, কেকে-এর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে সেই চোট অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে লেগেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নজরুল মঞ্চে কলেজের গানের অনুষ্ঠান থেকে হোটেলে ফিরে বমি করেন কে কে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা। দেহের কপাল ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন।
কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলেন কেকে-এর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণা -পুত্র নকুল, কন্যা তামিরা বিমানবন্দরে নেমে গাড়িতে উঠে রওনা দিয়েছেন। তাঁদের গাড়ির নম্বর ৬৩০০।