AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR: ‘আগেকার মানুষ কি কাগজ নিয়ে এত সচেতন ছিল?’ ‘এসআইআর আতঙ্কে’ ট্রেনের সামনে বাবা ঝাঁপ দিতেই ফুঁসে উঠলেন মেয়ে

SIR In West Bengal: অশোক  প্রফুল্লনগর এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে এই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন!  বাড়িতেও নাকি তিনি একাধিকবার বলেছিলেন, আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করছে না।

SIR: 'আগেকার মানুষ কি কাগজ নিয়ে এত সচেতন ছিল?' 'এসআইআর আতঙ্কে' ট্রেনের সামনে বাবা ঝাঁপ দিতেই ফুঁসে উঠলেন মেয়ে
এসআইআর আতঙ্কে ঝাঁপImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2025 | 9:36 AM
Share

কলকাতা: ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা! সেক্ষেত্রেও এসআইআর আতঙ্কের তত্ত্ব পরিবারের। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম অশোক কুমার সরদার (৬৩)। তিনি পেশায় রিক্সা চালক। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি কামারহাটি পৌরসভার প্রফুল্ল নগর লো ল্যান্ডের বাসিন্দা!

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক  প্রফুল্লনগর এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে এই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন!  বাড়িতেও নাকি তিনি একাধিকবার বলেছিলেন, আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করছে না। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে একাধিকবার বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু কারোর কথা গায়ে মাখেননি তিনি।

পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, শেষ কয়েক সপ্তাহে কাগজের জন্য অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরিও করেছিলেন! বুধবার সকাল থেকেও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছিলেন! কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরিবারের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় বেলঘরিয়া দমদমের মাঝের সিসিআর ব্রিজের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন! ট্রেনের ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত অবস্থায় আর জি করে চিকিৎসাধীন! দুটি পা কাটা গেছে বলে জানিয়েছে পরিবার।

আহতের মেয়ে চৈতালি সরকার বলেন, “বাবার নাম ছিল না। কিন্তু ঠাকুমার নাম ছিল। ২০০২ সালের তালিকায় বাবার নাম ছিল না। ঠাকুমার নাম থাকলেও বানান ভুল ছিল। আমি আজকেই সকালে পাড়ার একজনের থেকে ফর্ম ফিল-আপও করি। আমরা ডকুমেন্টস বার করছিলাম। কিন্তু বাবা চিন্তায় ছিল। এখন হাজার লোক হাজার কথা বলছেন। মানুষকে এত চাপ দিচ্ছে। আগেকার দিনে মানুষ কি এত সচেতন ছিল? “