Saline Case: স্যালাইন কাণ্ডে ‘স্বস্তি’? বিতর্কের আবহে ৫ ওষুধকেই ক্লিনচিট রাজ্য ড্রাগ ল্যাবরেটরির
Saline Case: স্যালাইন কাণ্ডের জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টেও। জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই সেই রিপোর্ট জমা করে রাজ্য। তাতেই সাফ বলা হয়, রিঙ্গার ল্যাকটেটের স্যালাইনে খারাপ ছিল না।

কলকাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডে ওষুধে ক্লিনচিট। রিঙ্গার ল্যাকটেট-সহ পাঁচটি ওষুধকে ক্লিনচিট রাজ্য ড্রাগ ল্যাবরেটরির। এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট আসা বাকি শুধু অক্সিটোসিনের। প্রসূতি মৃত্যুর কারণ খুঁজতে অক্সিটোসিন (প্রসবের পর রক্তক্ষরণ বন্ধে ব্যবহার হয়), রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন ছাড়াও বুপিভ্যাকিন (অ্যানাস্থেসিয়া), অন্ডাসেট্রন (বমির ওষুধ), RANITIDINE (গ্যাসের ওষুধ), সেফট্রায়াক্সন (সংক্রমণ রোধে অ্যান্টিবায়োটিক) ইঞ্জেকশনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টেই শেষ পর্যন্ত ক্লিনচিট। পাঁচটি ওষুধই পেল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির ক্লিনচিট।
অক্সিটোসিন বাদে বাকি পাঁচ ওষুধের রিপোর্ট জমা পড়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। খবর স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে। প্রসঙ্গত, স্যালাইন কাণ্ডের জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টেও। জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই সেই রিপোর্ট জমা করে রাজ্য। তাতেই সাফ বলা হয়, রিঙ্গার ল্যাকটেটের স্যালাইনে খারাপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারিতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই প্রাণ দিতে হয় প্রসূতিকে।
অভিযোগ শোনা যায় মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার কারণেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন ওই তরুণী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলেও ওঠে বিতর্কের ঢেউ। প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এদিকে এরইমধ্যে ওই একইদিনে সিজার হওয়া আরও তিন প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁদের দ্রুক কলকাতায় আনা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ১২ ডাক্তারকে সাসপেন্ডও করা হয়।





