স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই; কবে, কোথায় মিলবে কার্ড রইল বিস্তারিত
Student Credit Card: ৩০ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
কলকাতা: ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এবার পড়ুয়াদের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ১৭০ জন পড়ুয়াকে প্রাথমিকভাবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়া হবে। আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার কার্ড হাতে পাবেন পড়ুয়ারা।
জেলাশাসকের দফতরের কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক মারফত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ছাত্র ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এখনও অবধি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন এসেছে প্রায় ৭০,০০০। সূত্রের খবর, বর্ধমান ও হুগলিতে সব থেকে বেশি পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। কার্ডে পড়ুয়ার একাধিক তথ্যে উল্লেখ থাকবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার সবথেকে বেশি পড়ুয়ার হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়া হবে। আলিপুরদুয়ার থেকে ৫ জন পড়ুয়া, কোচবিহার থেকে ৫ জন পড়ুয়া, দার্জিলিং থেকে ২ জন পড়ুয়া, কালিম্পং থেকে ১ জন পড়ুয়া,উত্তর দিনাজপুর থেকে ৯ জন পড়ুয়া, মালদহ থেকে ১১ জন পড়ুয়া, জলপাইগুড়ি থেকে ৩ জন পড়ুয়া,নদিয়া থেকে ৩ জন পড়ুয়া, পূর্ব বর্ধমান থেকে ৩৩ জন পড়ুয়া, পশ্চিম বর্ধমান থেকে ৬ জন পড়ুয়া, হাওড়া থেকে ৬ জন পড়ুয়া, হুগলি থেকে ৩৭ জন পড়ুয়া, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ৪ জন পড়ুয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ১০ জন পড়ুয়া,বাঁকুড়া থেকে ১৪ জন পড়ুয়া, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৮ জন পড়ুয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৫ জন পড়ুয়া ও কলকাতা থেকে ১০ জন পড়ুয়াকে আপাতত এই কার্ড দেওয়া হচ্ছে।
কোন কোন কোর্সের ক্ষেত্রে এই ঋণ প্রযোজ্য?
* ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, আইন, আইএএস, আইপিএস, ডব্লুবিসিএস, এসএসসি, পিএসসি, ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই ঋণ প্রযোজ্য।
* স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা কোর্স, ডক্টরাল বা পোস্ট ডক্টরাল কোর্সের ক্ষেত্রে টাকা পাওয়া যাবে।
* যেসব প্রতিষ্ঠানের কোর্সের ক্ষেত্রে ঋণের আবেদন করা যাবে সেগুলি হল- আইআইটি, আইআইএম, আইআইইএসটি, আইএসআই, এনএলইউ, এনআইটি, এক্সএলআরআই, বিআইটিএস, এসপিএ, এনআইডি, আইআইএস, আইআইএফটি, আইসিএফএ আই।
কত ঋণ, কত সুদে?
সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। বছরে সর্বনিম্ন ৪ শতাংশ সুদে ঋণ মেটাতে হবে পড়ুয়াকে। ৪ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও মার্জিন মানি দিতে হবে না অর্থাৎ ব্যাঙ্কে এককালীন কোনও টাকা দিতে হবে না। তার বেশি টাকা ঋণ নিলে সেই টাকার ওপর ৫ শতাংশ মার্জিন মানি দিতে হবে।
কোর্স চলাকালীন যে কোনও সময়ে এই ঋণ নেওয়া যাবে। ঋণ দেওয়া হলেও ব্যাঙ্ক সরকারি পোর্টালে সেই তথ্য আপলোড করবে। ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক কোনও অতিরিক্ত শর্ত চাপাতে পারবে না। সরকারই এই ঋণের গ্যারান্টার হবে। ব্যাঙ্কে পড়ুয়ার অভিভাবককে কোনও চাপ দিতে পারবে না। ১৫ বছরের মধ্যে সুদ মেটাতে হবে। কোনও অভিভাবক চাইলে আগেও সেই টাকা মিটিয়ে দিতে পারে।
গত ৩০ জুন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। শুধু দেশে নয়, বিদেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণ নেওয়া যাবে। ১৫ বছর ধরে সেই ঋণ পড়ুয়ারা শোধ করতে পারবেন। আরও পড়ুন: ‘ডাটা এন্ট্রির কাজ করিয়ে টাকাও দিত, এরপরই আসত আইনি চিঠি, ফেরত নিত দ্বিগুণ টাকা’, ভয়ঙ্কর জালিয়াতির ফাঁদ শহরে