Rajeev Kumar: ৬ বছরের পুরনো মামলা, সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি রাজীব কুমারের
Supreme Court on Rajeev Kumar: সারদা-কাণ্ডের তদন্তে রাজ্য সরকারের তৈরি সিটের সদস্য ছিলেন রাজীব কুমার। সারদা চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই অভিযোগ করে, সিটের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না রাজীব কুমার। রাজীব কুমারকে হেফাজতে চেয়ে পদক্ষেপ করে সিবিআই। এরপরই ২০১৯ সালের অক্টোবরে কলকাতা হাইকোর্ট রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সারদা চিটফান্ড দুর্নীতি মামলায় তাঁর আগাম জামিন বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। তাঁর আগাম জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের করা আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল। তবে রাজীবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা বহাল থাকছে। তার উপর নির্ভর করবে আগাম জামিনের ভবিষ্যৎ। আট সপ্তাহ পর মামলার ফের শুনানি হবে বলে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে।
সারদা-কাণ্ডের তদন্তে রাজ্য সরকারের তৈরি সিটের সদস্য ছিলেন রাজীব কুমার। সারদা চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই অভিযোগ করে, সিটের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না রাজীব কুমার। রাজীব কুমারকে হেফাজতে চেয়ে পদক্ষেপ করে সিবিআই। এরপরই ২০১৯ সালের অক্টোবরে কলকাতা হাইকোর্ট রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। তাঁর আগাম জামিনের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদনই ৬ বছর পর খারিজ করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ।
এদিন মামলার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “এটা সিরিয়াস ইস্যু। সিবিআই অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছিল। মহিলা অফিসারদেরও ছাড়া হয়নি। নাম নিচ্ছি না কিন্তু, মিস্টার রাজীব কুমারকে সবাই বাঁচাতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী করেছিলেন, তা সবাই জানেন।”
এর আগে গত সোমবার এই মামলার শুনানি হয়েছিল। তখন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল, এতদিনে একবারও কি সিবিআই শুনানির জন্য পদক্ষেপ করেছিল? প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সিবিআইয়ের আবেদনের পর নভেম্বরে সেই মামলার শুনানি হয়। পরে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে শীর্ষ আদালতের তরফে রাজীব কুমারকে নোটিসও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকে ওই মামলার আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।
