Suvendu Adhikari: সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে তোপ মমতাকে, বুদ্ধবাবুকে ‘উদার’ সম্বোধন শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটের পর বিভিন্ন সময় বামেদের নিচুতলার কর্মীদের বিজেপির হাত শক্ত করার বার্তা দিয়েছে বিজেপি। বামেদের সঙ্গে মতাদর্শগত বিরোধ থাকলেও এর আগে একাধিকবার বাম নেতাদের একাংশের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। তবে সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে সোমবার শুভেন্দু যা বললেন, তা বুঝিয়ে দিল আগামী লোকসভা ভোটের আগে সিঙ্গুর আন্দোলনকেও হাতিয়ার করবেন তিনি। বললেন, ভোটের আগে আরও ৫ বার সিঙ্গুরে আসবেন তিনি।
কলকাতা: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ‘উদার’ বলে সম্বোধন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সোমবার সিঙ্গুরে দলীয় এক কর্মসূচি থেকে শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্প ভাগিয়েছেন গুজরাটে।”
একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে এদিন বলতে শোনা যায়, “আমি তখন বিরোধিতা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু চকোলেট, স্যান্ডউইচ খাওয়া আন্দোলনে আমি যাইনি। একমাত্র আমিই যাইনি। প্রতিদিন ডাকত। আমি ডেকরেটর্সের টাকা মিটিয়ে চলে এসেছিলাম।”
পঞ্চায়েত ভোটের পর বিভিন্ন সময় বামেদের নিচুতলার কর্মীদের বিজেপির হাত শক্ত করার বার্তা দিয়েছে বিজেপি। বামেদের সঙ্গে মতাদর্শগত বিরোধ থাকলেও এর আগে একাধিকবার বাম নেতাদের একাংশের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। তবে সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে সোমবার শুভেন্দু যা বললেন, তা বুঝিয়ে দিল আগামী লোকসভা ভোটের আগে সিঙ্গুর আন্দোলনকেও হাতিয়ার করবেন তিনি। বললেন, ভোটের আগে আরও ৫ বার সিঙ্গুরে আসবেন তিনি।
তবে শুভেন্দুর এই বক্তব্য নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কিছুটা কটাক্ষই করেন। সুজন বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর মাঝেমধ্যে ভাবের উদয় হয় কি না জানি না। ভূতের মুখে রাম নাম তো। তখন তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত যাঁরা ছিলেন, তখনকার ভাইপো শুভেন্দু অধিকারীও তো ছিলেন।”
অন্যদিকে শুভেন্দুর বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “বিজেপিতে যোগদানের পর ও নিজে বলেছিল ওর ২০১০ সাল থেকে আরএসএসের সঙ্গে বা বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এখন দেখছি বুদ্ধবাবুর প্রতি ওর ভাব ভালবাসা। তাহলে সেই সময় ও যেটা করেছিল কোনটা সঠিক, কোনটা অভিনয়? সিঙ্গুরের আন্দোলনে যা করেছিল তা সঠিক নাকি অভিনয়? একটা মানুষের যে ইন্টিগ্রিটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বললে সেটা তো ক্ষুণ্ণ হয়।”