Suvendu Adhikari on north bengal: ‘দ্রুত ব্যবস্থা নিন’, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে আর্জি শুভেন্দুর
শনিবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করেছিল। একদিনে ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হবে সেই পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। আর রাত দশটা বাজতে না বাজতেই তেড়ে বৃষ্টি নামে পাহাড়ি এলাকায়।সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত ও বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া।

কলকাতা: উত্তরবঙ্গে লাগাতার প্রবল বৃষ্টি চলছে। সেই বৃষ্টির জেরে কার্যত ধসে গিয়েছে রাস্তা। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে উত্তরবঙ্গ থেকে। এই আবহের মধ্যে এবার মুখ্যসচিব মনোজ মন্থকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দ্রুত যাতে ওই এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয় সেই বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার আলিপুর আবহাওয়া অফিস উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করেছিল। একদিনে ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হবে সেই পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। আর রাত দশটা বাজতে না বাজতেই তেড়ে বৃষ্টি নামে পাহাড়ি এলাকায়।সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত ও বইতে শুরু করে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে দার্জিলিং সহ একাধিক এলাকার। বন্ধ রয়েছে রোহিনী রোড। ক্ষতিগ্রস্ত ন্যাশানাল হাইওয়ে।
Due to the incessant heavy rainfall in North Bengal, the hilly regions of Darjeeling, Kalimpong, and Kurseong have been severely affected, with communication and transport links to the plains of Siliguri, Terai, and Dooars almost completely disrupted due to landslides and… pic.twitter.com/ugkbLrTmQr
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।নদী তীরবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় যাঁরা বসবাস করেন তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতিতেই একটি পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি প্রথমে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন। লিখেছেন, এবার উত্তরবঙ্গে অবিরাম ভারী বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্সিয়াং -এর পার্বত্য অঞ্চলগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধস ও বন্যার জেরে শিলিগুড়ি, তরাই ও ডুয়ার্সের সমতল অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শিলিগুড়ি ও মিরিক সংলগ্ন দুধিয়ায় বলাসন নদীর উপর লোহার সেতুটি ভেঙে পড়েছে।”
শুভেন্দু লিখেছেন, “হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়েছেন। তাঁদের কাছে না আছে জল, না আছে পর্যাপ্ত ওষুধ। ইতিমধ্যে মৃত্যুর খবরও প্রকাশ্যে আসছে। তবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।” বিরোধী দলনেতা অনুরোধ করেছেন, মুখ্যসচিবকে যেন অবিলম্বে সরকার বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এলাকাগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে স্বাভাবিক করা যায় দ্রুত যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি সেখানকার মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য ও জল পৌঁছে দিতেও অনুরোধ করেছেন শুভেন্দু।
