Water logged Mukundapur: সব জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি সেচ দফতরের, মুকুন্দপুুরের জল যন্ত্রণায় দায় এড়াচ্ছে পৌরনিগম

Tarak Singh: সরাসরি সেচ দফতরের উপর দোষ চাপিয়ে তারক সিং বলেন, সেচ দফতর গোটা বিষয়টি জানে। কিন্তু সব জানা সত্ত্বেও কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি বলেই তিনি দাবি করলেন।

Water logged Mukundapur: সব জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি সেচ দফতরের, মুকুন্দপুুরের জল যন্ত্রণায় দায় এড়াচ্ছে পৌরনিগম
মুকুন্দপুরের জল এখনও নামেনি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 5:32 PM

কলকাতা : অব্যাহত জল যন্ত্রণা। তিলোত্তমা আজ মুখ ঢেকেছে জমে থাকা জলে। আর এই জল-যন্ত্রণায় রাজ্যে শেষ চারদিনে ১৩ জনের প্রাণ কেড়েছে। কিন্তু হেলদোল নেই প্রশাসনের। জল নিকাশির কঙ্কালসার চেহারাটা বেরিয়ে পড়তেই একে অন্যের দোষ ঢাকতে ব্যস্ত। প্রয়োজনে অন্য দফতরের উপর দোষ চাপাতেও ছাড়ছেন না কেউ। যেন নিজের ঘাড় থেকে দায় সরাতে পারলেই বাঁচেন।

কলকাতার আরও বেশ কিছু এলাকার মতো মুকুন্দপুরের অবস্থাও বেশ শোচনীয়। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন। এখন বৃষ্টি থামলেও জল কমার লক্ষণ নেই। আজ সকালে মুকুন্দপুরের জল যন্ত্রণার পরিস্থিতি দেখতে আসেন কলকাতা পৌরনিগমের নিকাশি বিভাগের দায়িত্বে থাকা পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তারক সিং। কিন্তু জমা জল নিয়ে প্রশ্ন করতেই দায় চাপালেন সেচ দফতরের উপর। স্পষ্টভাবেই বলে দিলেন, মুকুন্দপুরের যে খাল দিয়ে জল নিষ্কাশিত হয় তা দীর্ঘ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে আবর্জনায়। এছাড়া মুকুন্দপুর প্রবেশের জন্য যে সেতুটি রয়েছে, সেটিও অনেক ছোট। আর এই কারণেই জল বেরোতে পারে না।

শুধু তাই নয়, এরপর সরাসরি সেচ দফতরের উপর দোষ চাপিয়ে বলেন, সেচ দফতর গোটা বিষয়টি জানে। কিন্তু সব জানা সত্ত্বেও কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি বলেই তিনি দাবি করলেন। তাহলে কি পৌরনিগমের নিকাশি বিভাগের সঙ্গে সেচ দফতরের সমন্বয়ের কোনও খামতি তৈরি হয়েছে? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

আজ মুকুন্দপুরের জমা জলের পরিস্থিতি ঘুরে দেখে তারক সিং জানান, ওই সেতুর যে অংশগুলি প্রতিবন্ধকতা হয়ে দেখা দিচ্ছে, জল নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে তা ভাঙার জন্য এবং খাল থেকে পলি উত্তোলনের জন্য সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের বলেছেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে ওই সেতুটি সম্পর্কে নোট পাঠাতে বললেন তিনি।

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণায় শহর কলকাতা (Kolkata)। এলাকায় এলাকায় জমে রয়েছে হাঁটুর ওপর জল। ঘটছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। সম্প্রতি জল জমার জন্য ভিন রাজ্যকে দায়ী করলেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর দাবি, উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অসুবিধায় পড়েছে কলকাতাও। ঠিক কী বলেছেন কলকতার পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী?

বৃহস্পতিবার শহরের জল জমা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “কলকাতা লাগোয়া অনেক জায়গায় জল জমে আছে। আমরা ইরিগেশন (সেচ দফতর) কে বলেছি যাতে ক্যানাল (খাল) গুলো তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। জলটা যাতে বেরিয়ে যায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু গঙ্গাও থইথই করছে। অর্থাৎ ওপর থেকে, উত্তরাখণ্ড থেকে জলটা হইহই করে আসছে। এরকম বৃষ্টি তো হয়নি। যেটা গত কয়েকদিনের মধ্যে হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “যাঁরা বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন : Firhad Hakim: কলকাতার জলযন্ত্রণার জন্য দায়ী উত্তরাখণ্ড!