Firhad Hakim: কলকাতার জলযন্ত্রণার জন্য দায়ী উত্তরাখণ্ড!
Firhad Hakim: জলটা যাতে বেরিয়ে যায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু গঙ্গাও থইথই করছে। অর্থাৎ ওপর থেকে, উত্তরাখণ্ড থেকে জলটা হইহই করে আসছে।
কলকাতা: গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণায় শহর কলকাতা (Kolkata)। এলাকায় এলাকায় জমে রয়েছে হাঁটুর ওপর জল। ঘটছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। জল জমার জন্য ভিন রাজ্যকে দায়ী করলেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর দাবি, উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অসুবিধায় পড়েছে কলকাতাও। ঠিক কী বলেছেন কলকতার পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী?
বৃহস্পতিবার শহরের জল জমা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কলকাতা লাগোয়া অনেক জায়গায় জল জমে আছে। আমরা ইরিগেশন (সেচ দফতর) কে বলেছি যাতে ক্যানাল (খাল) গুলো তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। জলটা যাতে বেরিয়ে যায় সেই চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু গঙ্গাও থইথই করছে। অর্থাৎ ওপর থেকে, উত্তরাখণ্ড থেকে জলটা হইহই করে আসছে। এরকম বৃষ্টি তো হয়নি। যেটা গত কয়েকদিনের মধ্যে হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “যাঁরা বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে কলকাতার জল যন্ত্রণা নিয়েও বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডকে জেনেবুঝে দায়ী করা হচ্ছে বলে কটাক্ষ শানিয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, “নতুন থিসিস উনি (ফিরহাদ হাকিম) তৈরি করবেন নদী বিজ্ঞানের উপরে। উনার থিসিস আবার আমরা দেখব। আমার মনে হয় এটা ওঁনার অজুহাত। প্রশাসনের তরফ থেকে তো এটুকু করা যেতেই পারে। যেখানে জল জমে রয়েছে সেখানকার বৈদ্যুতিক তারগুলো বাকি অবস্থায় রয়েছে তা নিয়মিত মনিটরিং করা। সরকারি ব্যবস্থায় মাইকিং করা।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও যোগ করেন, “আমি কী মন্তব্য করেছি, সে বিষয়ে ববিদা না বললেই ভাল। কারণ, বিভিন্ন সময়ে তার মুখনিঃসৃত বাণীপূর্ণ সম্বোধন সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। উনি কাকে কার বাচ্চা বলেছেন, আপনি নিজে তার বিচার করুন। একটি দলের বড় নেতা এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক, ভরসার লোক বলে লোকে জানেন, তাড়াতাড়ি তাঁর উত্থান হয়েছে। ওনার পূর্বপুরুষ, ওনার বাবা গোয়া থেকে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। তাড়াতাড়ি জায়গা পেয়ে গিয়েছেন। উনি ভাল কাজ করেছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু ওঁনাকে বলব না আর যে সমস্ত বাণী সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায়, সেদিকে কনসেনট্রেট করুন।”
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা। কৃষি জমির পাশাপাশি মাছ চাষের জন্য যে সমস্ত ফিশারি রয়েছে তাও জলের তলায়। শহর ও শহরতলির বহু জায়গাতেই বৃষ্টির জমা জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা স্বাদের মাছ। এলাকার লোকজনও ছিপ-জাল নিয়ে নেমে পড়ছেন সেই মাছ ধরতে। এদিকে জমাজলে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
এর আগে রাজ্যের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে এমনটাই জানিয়ে ছিলেন তিনি। তার আগে রাজ্যের বিরোধী নেত্রী থাকার সময়ও রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে ম্যানমেড বলেছেন মমতা। এবার তাঁর দলের নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতার জলযন্ত্রণা নিয়ে অন্যরকম ব্যাখ্যা দিলেন।
আরও পড়ুন: Bidhannagar: সকালের ডিউটিতে যোগ দেননি সাব ইন্সপেক্টর, থানার উপরে বন্ধ ঘরে ঘটালেন ভয়ঙ্কর কাণ্ড!