Dilip Ghosh: আদুল গা, পরনে গামছা, কাশীপুর ঘাটে নিহত বিজেপি কর্মীদের তর্পণে দিলীপ ঘোষ

Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, গত এক বছরে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির ৬০ জন কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় এই উদ্যোগ।

Dilip Ghosh: আদুল গা, পরনে গামছা, কাশীপুর ঘাটে নিহত বিজেপি কর্মীদের তর্পণে দিলীপ ঘোষ
কাশীপুরে দিলীপ ঘোষ। ছবি টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2022 | 4:23 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Clash) অভিযোগ তুলে গত এক বছরে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছিল। এই ভোটের আগে এবং পরে বিজেপির (BJP) বহু কর্মী সমর্থক শাসকদলের হিংসার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই ২ তারিখকে সামনে রেখেই সোমবার শহরের কাশীপুর সর্বমঙ্গলা ঘাটে তর্পণ করতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, গত এক বছরে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির ৬০ জন কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় এই উদ্যোগ। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই কর্মসূচিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, টিভির পর্দায় মুখ দেখানোর জন্য এসব নতুন নতুন কর্মসূচি।

তর্পণ শেষে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গত বছর এই দিনেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল। এই দিন থেকেই অপরিসীম হিংসার শিকার হয়ে চলেছেন আমাদের লোকজন। মানিকতলার অভিজিৎকে এই দিনই প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় একাধিক জায়গায় খুন, ধর্ষণ, বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে। এখনও ঘটছে। হাজার হাজার লোকজনের উপর হামলা হচ্ছে। এক বছর হয়ে গেল এখনও বহু মানুষ ঘরছাড়া। গত এক বছরে কমপক্ষে ৬০ জন বিজেপি কর্মীকে মারা হয়েছে। রাজনীতির হিংসার বলি হয়েছেন তাঁরা। আমি সেই সময় রাজ্য সভাপতি ছিলাম। আমার একটা দায়িত্ব এই কর্মীদের আত্মা যেন শান্তি পায়। তাই আজ এই গঙ্গার ঘাটে আসা। তাঁদের পরিবারকেও আমরা সাহায্য করছি এবং করব।”

ফিরহাদ হাকিম পাল্টা বলেন, “দিলীপদার এখন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে রোজ টিভিতে আসা। রোজ প্রাতঃভ্রমণে যান। সেসব ছবি অনেক উঠে গিয়েছে। এবার তর্পণ করলে সেই ছবি উঠবে। তাই দিলীপদা নতুন নতুন ভাবে দেখা দেন। কখনও গরুর দুধে সোনা খুঁজে পেয়ে খবরে থাকেন, কখনও তর্পণ করে খবরে থাকেন।” যদিও শুধু দিলীপ ঘোষই নন, ২ মে ‘অভিশপ্ত দিন’ বলে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গত বছর এই দিন থেকেই বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উপর অত্যাচার শুরু করে শাসকদল তৃণমূল। বিরোধী দলগুলিকে ভীত, সন্ত্রস্ত করে রাখার শুরু ২ মে থেকেই।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘সুস্থ নেতা ভর্তি থাকেন উডবার্নে, বার্ন ইউনিট না থাকায় মৃত্যু হয় রোগীর’, চাঁচাছোলা আক্রমণ শুভেন্দুর