Suvendu Adhikari: ‘সুস্থ নেতা ভর্তি থাকেন উডবার্নে, বার্ন ইউনিট না থাকায় মৃত্যু হয় রোগীর’, চাঁচাছোলা আক্রমণ শুভেন্দুর
Panskura: পাঁশকুড়ার ১৭ নম্বর ওয়াডে নিশিপ্রহর উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পাঁশকুড়া: ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ রাজ্যকে। এবার তাঁর নিশানায় এ রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা। পূর্ব মেদিনীপুরের একটি কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, “বার্ন ইউনিট না থাকা গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত্যু হয় মহিলার। আর সুস্থ নেতা ভর্তি থাকেন উডবার্ন ওয়ার্ডে।”
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিশিপ্রহর উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতির বাড়িতে নাম সংকীর্তন হয়। ওই সংকীর্তন রবিবার হাজার-হাজার মানুষ তাঁর বাড়িতে অন্ন প্রসাদ খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রিত হন। সেই কারণে মানুষের ঢল নামে প্রচুর। ওই অনুষ্ঠানে বেশ কিছুটা সময় কাটান শুভেন্দু। কীর্তনীয়াদের উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা দিয়ে হরিলুটের বাতাসা ছড়ান নিজের হাতে। তারপর বেরিয়ে যান।
এরপর শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের এমন অবস্থা সুস্থ মানুষ থাকেন উডবার্নে আর অগ্নিদগ্ধদের থাকতে হয় গ্রামীণ হাসপাতালে। যেখানে সঠিক ভাবে চিকিৎসা হয় না। আমি যেদিন দেখতে গিয়েছিলাম সেদিন বুঝেই ছিলাম সব মহিলা রোগীদের অবস্থা খারাপ। এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি ওই পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। কিন্তু বলব সঠিকভাবে চিকিৎসা হয়নি। বার্ন ইউনিটের ব্যাবস্থা করা হয়নি।”
এরপর খেজুরির এনআইএ গ্রেফতার প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।” অন্যদিক, বিনয় মিশ্র নিয়ে নাম না করে বলেন, “এই সব চোর ডাকাতদের সম্বন্ধে বেশি না বলাই ভাল। কারণ দেশের জিনিস চুরি করে বিদেশে লুকিয়ে আছে। ভারত সরকারের উচিত অবিলম্বে বিদেশ থেকে গ্রেফতার করা এদের।”
বস্তুত, বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর বীরভূমের রামপুরহাটে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে যান বিরোধী দলনেতা। সেখানে গিয়ে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন। গ্রামীণ হাসপাতালে বার্ন ওয়ার্ড নেই বলেও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।