AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DA Protest: ৪৪ দিন পর অনশন তুলে নিলেন ডিএ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা

DA Protest: অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মঘট করার জন্য শোকজও হয়েছেন। এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।

DA Protest: ৪৪ দিন পর অনশন তুলে নিলেন ডিএ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা
৪৪ দিন পর উঠল অনশন (নিজস্ব চিত্র)
| Updated on: Mar 25, 2023 | 1:48 PM
Share

কলকাতা: বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল। লাগাতার আন্দোলন করছিলেন সরকারি চাকুরিজীবীরা। করেছেন অনশন। অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মঘট করার জন্য শোকজও হয়েছেন। এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। অনশন তুলে দিলেন আন্দোলনকারীরা। ৪৪ দিনে উঠল অনশন। তবে আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মীরা।

কেন তুলে নিলেন অনশন?

যৌথ মঞ্চের ডাকে লাগাতার আন্দোলন করছিলেন সরকারি কর্মচারিরা। ৪৪ দিন ধরে তাঁরা অনশনও তালিয়ে যাচ্ছিলেন। আন্দোলনরত এক  কর্মী জানান যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। সেই কারণে অনশন স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে ফের অনশনে বসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ বলেন, “প্রয়োজন পড়লে ফের আন্দোলনে বসব।  আমার সঙ্গে আরও একজন অনশনকারী রয়েছেন তাপস সিংহ। তিনিও তাঁর অনশন আপাতত স্থগিত রেখেছেন। আমাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।” তিনি বলেন, “অনেকেই অনশন শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত দু’জন ছিলেন।” ভাস্কর ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “আমরা শুধুমাত্র আন্দোলনের অভিমূখ ঘোরাচ্ছি। ২৯ তারিখ গণ-অনশন হবে। তবে ওইদিন বার্গার-প্যাটিস খেয়ে ফের অনশন হবে। এতদিন আমরা না খেয়ে অনশন করেছি।”

প্রসঙ্গত, ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের একাংশ। কেন্দ্রের সমহারে ডিএ-র দাবিতে অনড় তাঁরা। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা খুশি করতে পারেনি ডিএ আন্দোলনকারীদের। শহিদ মিনারে কয়েক সপ্তাহ ধরেই ধরনা দিচ্ছেন তাঁরা।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, “আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নই, অধিকার দেওয়ার পক্ষে। যেটা আইনি স্বীকৃত।” রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের কেন্দ্রের হারে DA দেওয়া সম্ভব নয় বলেও  সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর কথায়, “কাজ করবেন রাজ্য সরকারে, আর কেন্দ্রের হারে টাকা দিতে হবে, সেটা চলতে পারে না।  রাজ্য রাজ্যের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী টাকা দিয়েছি।”