TMC: যাদবপুরে ব্রাত্যকে হেনস্থার অভিযোগে রাস্তায় তৃণমূল, ছাত্র জখমের ঘটনাকে ‘বাজে কথা’ বললেন অরূপ
TMC: মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। যারা শিক্ষামন্ত্রীর গায়ে হাত দেয়, অধ্যাপকদের গায়ে হাত দেয়, তাদের আমরা ছাত্র বলে মনে করি না। আজ শুধু শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।"
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় নামল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার সন্ধেয় সুকান্ত সেতু থেকে রাজ্যের শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ-সহ কর্মী-সমর্থকরা মিছিল বের করেন। সেই মিছিল থেকে শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব হন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দেন তিনি।
তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ওই সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় এক ছাত্র গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর এসএসকেএম হাসপাতালে যান ব্রাত্য বসু।
যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্থার প্রতিবাদে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে পথে নামে তৃণমূল। সুকান্ত সেতু থেকে সেই মিছিলে হাঁটেন সাংসদ সায়নী ঘোষ, তৃণমূল নেতা অরূপ রায়। যোগ দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। যারা শিক্ষামন্ত্রীর গায়ে হাত দেয়, অধ্যাপকদের গায়ে হাত দেয়, তাদের আমরা ছাত্র বলে মনে করি না। আজ শুধু শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এরা নিজেদের কী করে ছাত্র বলে দাবি করে, যারা গণতন্ত্র মানে না। এরা তৃণমূলকে ভয় পায়।”
তিনি দাবি করেন, “আমাদের একজন ছাত্র জখম হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার অবস্থা এখন গুরুতর।” বাম সংগঠনের এক ছাত্র জখম হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির তলায় পড়ে জখম হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, “ওসব বাজে কথা। ওরা মিথ্যা কথা বলছে।” যাদবপুরের এদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।





