Kunal Ghosh: ‘শুনব, জেলে সঞ্জয়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিয়ে যাচ্ছেন’, রাখঢাক না রেখেই তিলোত্তমার বাবা-মাকে আক্রমণ কুণালের, জবাব দিলেন শতরূপ
Kunal Ghosh: তিলোত্তমার বাবা-মাকে নিশানা করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার বলছে ফাঁসি চাই। চাপে পড়ে সিবিআইও বলছে ফাঁসি চাই। বাবা-মা বলছেন, ফাঁসি চাই না। এ তো বামপন্থী, অতিবাম জুনিয়র ডক্টরদের একাংশের কথাগুলো প্রতিফলিত হচ্ছে তিলোত্তমার বাবা-মার মুখ থেকে।"
কলকাতা: সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুকে বয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। তার ন্যায়বিচার চাইছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। আর এই ন্যায়বিচার চেয়ে তাঁদের বক্তব্য নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। সোমবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তিলোত্তমার বাবা-মাকে নিশানা করলেন শাসকদলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কলকাতা হাইকোর্টে এদিন তিলোত্তমার বাবা-মা বলেন, তাঁরা দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চান না। তারপরই তাঁদের আক্রমণ করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আজকে উনি ফাঁসি চাইলেন না! তাহলে উনি কী চাইছেন? অন্য মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি রেপ করে খুন করে, তাহলে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না, এটাই উনি চাইছেন? যেহেতু ওনার মেয়ে রেপড হয়ে মারা গিয়েছেন বলে, অন্য মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি এরকম ঘটনা ঘটে, তাহলে দোষীর ফাঁসি সাজা হবে না বলা হচ্ছে।”
কল্যাণের এই মন্তব্যের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তিলোত্তমার বাবা-মাকে নিশানা করেন তৃণমূলের আর এক নেতা কুণাল। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার বলছে ফাঁসি চাই। চাপে পড়ে সিবিআইও বলছে ফাঁসি চাই। বাবা-মা বলছেন, ফাঁসি চাই না। এ তো বামপন্থী, অতিবাম জুনিয়র ডক্টরদের একাংশের কথাগুলো প্রতিফলিত হচ্ছে তিলোত্তমার বাবা-মার মুখ থেকে। তাহলে কি সঞ্জয় রায়কে প্রোটেকশন দিচ্ছেন? বাঁচিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা? এটা হয়? দু’দিন বাদে শুনব শীতকাল বলে জেলে সঞ্জয়কে তাঁরা কম্বল আর সোয়েটার দিতে গিয়েছেন। তার দু’দিন বাদে শুনব, জেলে ওনারা সঞ্জয়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিয়ে যাচ্ছেন।”
এই খবরটিও পড়ুন
তিলোত্তমার বাবা-মাকে নিশানা করায় কুণালকে পাল্টা তোপ দেগেছেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। তিনি বলেন, “যিনি জাস্টিস চাইছেন, তাঁদের সঙ্গে বিকাশ ভট্টাচার্যের কথা তো মিলেই যাবে। ঠিক যেমন যারা ধর্ষণ করেছে এবং যারা ধর্ষকদের আড়াল করতে চাইছে, তাদের সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের কথা মিলে যাবে। এটাই স্বাভাবিক। যে কোনও জায়গায় যে ভিক্টিম, যে লড়াই করছে তার কণ্ঠস্বর বামপন্থীদের সঙ্গে মিলবে। আর যারা অপরাধী তাদের গলার স্বর তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মিলবে।”
কল্যাণ ও কুণালের মন্তব্যের জবাব দিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমাকে ভয় দেখানোর প্রয়োজন নেই। আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমি ভয় পাব না। বলব, আমাদের গাইড করুন। আমি ওঁদের মুখপাত্রও হতে পারি। মেয়ের বিচারের জন্য যা করার দরকার করুন।”
এদিকে, এদিন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তৃণমূলের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের পর তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “ও’রকম মৃত্যুর পরে, এটাকে রাজনৈতিক মোড়ক দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এরকম করা উচিত নয়। সেই গ্যাপ এবং সেই প্রতিরোধ করার জন্যে হয়ত আমরা সচেষ্ট ছিলাম না।”