AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘কেন্দ্রীয় সরকারকে তদন্ত করতে কে আটকেছে?’ কয়লাকাণ্ডে আক্রমণাত্মক অভিষেক

অভিষেকের বক্তব্য, বিজেপি যদি সত্যিই মনে করে থাকে যে তৃণমূল নেতারা বেআইনিভাবে কয়লাপাচারের মুনাফা হস্তগত করেছে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার তদন্ত করছে না কেন?

'কেন্দ্রীয় সরকারকে তদন্ত করতে কে আটকেছে?' কয়লাকাণ্ডে আক্রমণাত্মক অভিষেক
ফাইল ছবি
| Updated on: Apr 05, 2021 | 6:04 PM
Share

কলকাতা: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Scam) বিজেপির অভিযোগের পালটা দিতে এ বার আক্রমণাত্মক পন্থা নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রবিবার গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে ৯০০ কোটির যে দুর্নীতির দাবি করা হয়েছিল, এ দিন টুইট করে সেই প্রেক্ষিতেই জবাব দিতে চেয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিজেপি যদি সত্যিই মনে করে থাকে যে তৃণমূল নেতারা বেআইনিভাবে কয়লাপাচারের মুনাফা হস্তগত করেছে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার তদন্ত করছে না কেন?

সোমবার এই নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে পরপর দু’টি টুইট করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, “সমস্ত কয়লা সম্পদ সরাসরি কেন্দ্রের অধীনে থাকে এবং তা কেন্দ্রীয় সংস্থা দ্বারা সংরক্ষিত হয়। বিজেপি যদি মনে করে থাকে যে অবৈধভাবে কয়লা পাচারের অর্থ তৃণমূল নেতাদের কাছে এসেছে, তবে যে কালপ্রিটরা জাতীয় সম্পদ রক্ষা করতে ব্যর্থ হল, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে তদন্ত করতে কে আটকেছে?”

দ্বিতীয় টুইট আরও ঝাঁঝ বাড়িয়ে অভিষেক জানতে চেয়েছেন, “আপনারা কাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন?” তিনি লিখেছেন, “বিজেপির মতে, কয়লা মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকেরা নিজেদের বসদের (পড়ুন মোদী-শাহ) কথা না শুনে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ পালনে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এটা হাস্যকর।”

আরও পড়ুন: ‘ভুলেও আমার আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার হাইজ্যাক করতে আসবেন না’, জয়ার সুর শুরুতেই সপ্তমে

প্রসঙ্গত, গতকালই একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী ও দীনেশ ত্রিবেদীর মতো তৃণমূল ত্যাগী অধুনা বিজেপি নেতারা দাবি করেন, কয়লাপাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিমাসে প্রায় ৩৫-৪০ কোটি টাকা দিতেন অনুপ মাজি ওরফে লালা। এরপর সেই টাকা পুলিশি পাহারায় পৌঁছে যেত শান্তিনিকেতনে। এ ভাবে মোট ৯০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীররা। সেই অভিযোগের পালটা দিয়েই এ দিন কেন্দ্রীয় সরকার এবং এর অধীনে থাকা আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক।

আরও পড়ুন: ৯০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগের পালটা ফৌজদারি মামলার হুমকি তৃণমূলের