Trekkers Death In Uttarakhand: ভাগ্নের দেহ মিলেছে, এখনও উত্তরকাশীতে খোঁজ নেই মামার! সময়ের সঙ্গে বাড়ছে অনিশ্চয়তা
Trekkers Death In Uttarakhand: উত্তরকাশীতে নিখোঁজ থাকা রিচার্ড মণ্ডলের দেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দেহ নামিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।
উত্তরাখণ্ড: রবিবার সকাল থেকেই চলছে বাগেশ্বরে উদ্ধার কাজ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতার হরিদেবপুরের (Haridevpur) বাসিন্দা সুখেন মাঝির দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সুখেন মাঝির সঙ্গেই নিখোঁজ তাঁর গাইডও। তিনি সেখানকারই বাসিন্দা। শনিবারই তাঁর ভাগ্নে তনুময় তিওয়ারির দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রশাসনের কাছে পরিবারের আর্জি, দ্রুত যেন ছেলের দেহ পান তাঁরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিখোঁজদের খুঁজে পেতে যত দেরি হবে, ততই বিপদের সম্ভাবনা বেশি। আশার আলোও ক্ষীণ হতে থাকবে। কারণ বরফ পড়ছে ক্রমাগত। যদি মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে বরফের অনেকটা নীচে চলে যেতে পারে দেহ।
তনুময় তিওয়ারি ও সুখেন মাঝি- সম্পর্কে মামা ভাগ্নে। এবারে পুজোর মধ্যে মামার সঙ্গেই তনুময় রওনা দিয়েছিলেন স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে। সেখানেই শেষ হয় তাঁর প্রাণ। তনুময়ের দেহ উদ্ধার করা গেলেও, তার মামাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের খবর শোনার পর থেকেই আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছিলেন তিওয়ারি পরিবারের সদস্যরা। সর্বদা চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। যতদিন কোনও খবর মেলেনি, বুকের মধ্যে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন, হয়তো কোথাও আটকে পড়েছে, কিন্তু তাঁদের সন্তান সুরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু তা মিথ্যা করেই অবশেষে আসে সেই খবর।
তনুময়ের বাবা-মা কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। ঘরে বসে ডুকরে কেঁদে উঠছেন মাঝেমধ্যেই। তনুময়ের কাকা বলেন, “আমাদের ছেলেটা তো চলেই গেল। আর কিছু বলার নেই। তবে দেহটা যেন পাই। আমরা সত্কারটা যেন করতে পারি।” পরিবারে শোকের ছায়া। সরকারের কাছে আবেদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তাঁদের ছেলের দেহ যেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উত্তরকাশীতে নিখোঁজ থাকা রিচার্ড মণ্ডলের দেহ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দেহ নামিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। রিচার্ড মণ্ডলের সঙ্গে নিখোঁজ ছিলেন স্থানীয় এক গাইডও। তাঁরও দেহ উদ্ধার হয়েছে। উত্তরকাশীতে নিখোঁজ থাকা পাঁচ জন বাঙালির দেহ উদ্ধার করা হল। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সুখেন মাঝি। উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু বাংলার ৫ জনের। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর কন্ট্রোল রুম থেকে বাংলার পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন,সাধন বসাক, তিনি ঠাকুরপুকুর জায়গীর রোডের বাসিন্দা। এছাড়াও বিকাশ মাকাল, সৌরভ দাস, সাবিয়ান দাসের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে তাঁরা প্রত্যেকেই ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন। বিপর্যয়ের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দেহ নিয়ে আসার জন্য চপার পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিঁখোজ ৪।
১১ জন পর্বতারোহীর মধ্যে দুজনকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল আগেই। অর্থাৎ বাকি ৯ জনের মধ্যে ৫ জনের দেহ উদ্ধার হল। বাকিদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তাঁরা কোথায়, কী অবস্থায় আছে, তা জানতে চলছে উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, এই দলটি ট্রেকিং-এ গিয়েছিল। সেখানে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ওই দলের মধ্যে ছিলেন ৭ জন বাঙালি।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে বিপর্যয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের দেহ আজ নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেহ পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: Trekkers Death in Uttarakhand: এখনও খোঁজ নেই ৫ বাঙালির, প্রশাসনের ভূমিকায় জমছে ক্ষোভ