Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kunal on Sushanta : ‘আগে বলুন পরিবারের ১৫ সদস্যকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক কি না’, সুশান্তকে নিশানা কুণালের

Kunal on Sushanta : অভিযোগ বিধায়ক এবং মন্ত্রী থাকাকালীন পনেরো বছরে বড়বোন এবং ভগ্নীপতির চাকরি করে দিয়েছেন সুশান্ত। তালিকায় রয়েছে তাঁর নিজের স্ত্রীর নামও।

Kunal on Sushanta : 'আগে বলুন পরিবারের ১৫ সদস্যকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক কি না', সুশান্তকে নিশানা কুণালের
সুশান্তকে নিশানা কুণালের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 7:00 PM

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের পাশাপাশি এবার নাম জড়াতে শুরু করেছে বামেদেরও। সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) থেকে সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh) একাধিক ব্যক্তির নামে উঠছে ঘোরতোর অভিযোগ। আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে না এলেও, তৃণমূলের (Trinamool Congress) দাবি বাম আমলে নিয়োগে আসলই রোগই ছিল স্বজনপোষণ। পার্টি ক্যাডারদের, হোল টাইমারদের পরিবারের লোকদের বেআইনি পথে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে চাকরি। এরইমধ্যে এবার ‘স্বজনপোষণের’ অভিযোগে কাঠগড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। বোন থেকে ভাই, ভগ্নিপতি থেকে ভাগ্নে, দীর্ঘদিন মন্ত্রী ও বিধায়ক থাকার সুবাদে পরিবারের প্রায় ১৫ জন সদস্যকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে এককালের এই দাপুটে বাম নেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা প্রকাশ্যে এনেছেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এ ঘটনার এবার তদন্তের দাবি জানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। 

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বামেদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে গিয়ে সুশান্ত প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের ভিতর থেকেই এই অভিযোগ আসছে। তাঁরা বলছেন তাঁর পরিবারের বহু সদস্যকে চাকরি দিয়েছেন। সুশান্ত বাবু দীর্ঘদিন মন্ত্রী ও বিধায়ক থাকার সুবাদে তাঁর বড় বোন ও ভগ্নিপতির চাকরি দিয়েছেন। চাকরি দিয়েছেন ভাগ্নের, ছোট বোনের প্রাইমারি স্কুলে চাকরি, মেজ বোনের স্বামীর চাকরি, পিসতুতো ভাইয়ের চাকরি দিয়েছেন। এমনকী নিজের স্ত্রীরও চাকরি দিয়েছেন। তালিকা আরও বাড়ছে। আমি তো পড়েই শেষ করতে পারছি না। আমরা এটার তদন্তের জন্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করছি।”  

যদিও অভিযোগ সামনে আসতেই সুশান্ত ঘোষকে বলতে শোনা যায়, “যারা চোর হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন তাঁরা মনে করেন অন্যের দিকে আঙুল তুললে তাঁরা যে চোর সেটা খানিকটা লাঘব হয়ে যাবে।” পাল্টা কুণালের দাবি, “আগে উনি বলুন এই অভিযোগ ঠিক না ঠিক নয়।” এদিকে অখিল গিরি যে তালিকা সামনে এনেছেন তাতে স্পষ্ট অভিযোগ করে বলছেন বিধায়ক এবং মন্ত্রী থাকাকালীন পনেরো বছরে বড়বোন এবং ভগ্নীপতির চাকরি করে দিয়েছেন সুশান্ত। বর্তমানে তাঁরা অবসর নিয়েছেন। সুশান্ত ঘোষের স্ত্রী ছিলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। বড়বোনের বড় ছেলে অর্থাৎ বামনেতার ভাগ্না বর্তমানে আধাননয়ন হাইস্কুলের লাইব্রেরিয়ান। ছোট ভাগ্না চাকরি করছেন ক্ষীরপাই এলাকার সেচ দফতরে।