কলকাতা: একাধিকবার ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এদিন সকালেও টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “লড়তে চাই আগেই বলেছি। মানসিকভাবে আমার ১০০ শতাংশ প্রস্তুতি আছে। তারপরেও কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে।” শেষ পর্যন্ত এদিন সন্ধ্যায় আইএসএফের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় ডায়মন্ড-হারবারে মজনু লস্করের নাম সামনে এনেছে দল। তা নিয়ে চলছে চর্চা। নওশাদকে একহাত নিয়ে তৃণমূলের তমলুকের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। আইএসএফের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই এবার সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
এদিন আইএসএফের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দেবাংশু সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়ে নিজেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারপর নিজেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়াকে নওশাদ সিদ্দিকী বলে। এই জন্য আমরা বলি পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিত নয়।”
অন্যদিকে সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলে জোট নিয়ে খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে আইএসএফের জোট হয়নি। সিপিএম একটা সুবিধাবাদী দল। ওরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখনই বামফ্রন্টের বড় শরিক হিসাবে তাঁরা অন্য শরিক সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো দলদের গুরুত্ব দিত না, সম্মান দিত না। দাদাগিরি করত।” প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুর, যাদবপুর সহ একাধিক আসন নিয়ে আইএসএফ নেতাদের সঙ্গে বামেদের দফায় দফায় আলোচনা চলেছে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দুই কেন্দ্রেই প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। এদিকে যাদবপুর থেকে বামেদের টিকিটে লড়ছেন সৃজন ভট্টাচার্য, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধর।
এদিকে কুণাল বলছেন, “হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর সিপিএম কখনও কংগ্রেসের কাছে যাচ্ছে, কখনও আইএসএফকে কাজে লাগাচ্ছে। সিপিএম আইএসএফ-কে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু, আইএসএফ নতুন দল তাই বনিবনাটা হয়নি। এখন আইএসএফ নিজেদের মতো প্রার্থী দিয়েছে।” তবে ডায়মন্ড-হারবারে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কুণাল। সাফ বলছেন, “নওশাদদের সঙ্গে আমাদের মত পার্থক্য আছে। ওরা নিজেদের মতো চলছে চলুক। আমরা জানি ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ থেকে ৫ লাখ ভোটে জিতবেন।”