কলকাতা: শনিবারই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। বাংলায় এবারও সাত দফায় ভোট। মুখোমুখি লড়াইয়ে নামছে তৃণমূল ও বিজেপি। যুযুধান দুই শিবিরের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার অপেক্ষায় বাংলায়। কার দিকে পাল্লা ভারী? টিভি৯, পোলস্ট্র্যাট ও পিপলস ইনসাইটের জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, পাল্লা ভারী বিজেপির দিকেই। বাংলায় মোট ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২৬টি আসন। তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ১৬টি আসন। জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, খাতা খুলতে পারছে না বাম ও কংগ্রেস শিবির। উল্লেখ্য, ওপিনিয়ন পোল কোনও চূড়ান্ত ফলাফল নয়। জনমতের একটি আভাস পাওয়ার চেষ্টা করা হয় এই ওপিনিয়ন পোলগুলির মাধ্যমে। অতীতে যেমন কখনও কখনও জনমত সমীক্ষা হুবহু মিলে যেতে দেখা গিয়েছে, আবার অনেক সময় জনমত সমীক্ষা ভুলও প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনেই এক উল্কা গতির উত্থান দেখেছিল বিজেপি। বাংলায় যেখানে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, সেখানে নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে নিয়েছিল বিজেপি। ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছিল ২২টি আসন। বাকি দুটি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছিল বিজেপি। এবার বাংলার থেকে আরও বেশি আসনে জয়ের টার্গেট নিয়েছে বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব। পাশাপাশি বিজেপির হাতে সন্দেশখালির মতো হাতেগরম ইস্যুও রয়েছে, যা পুরোদমে কাজে লাগাতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবির।
ভোটের মুখে এখন বাংলার রাজনৈতিক বাতাবরণ ক্রমেই তপ্ত হয়ে উঠছে, আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণের পালা চলছে। এখন শুধু দেখার সাত দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব মিটিযে ৪ জুন গণনার দিন শেষ পর্যন্ত কোন দলের মুখের হাসি চওড়া হয়। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক বাকি জনমত সমীক্ষাগুলিতে কী ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে? নিউজ় ১৮-এর জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলায় বিজেপি পেতে পারে ২৫টি আসন এবং তৃণমূল পেতে পারে ১৭টি আসন। এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, এ রাজ্যে বিজেপি পেতে পারে ১৯টি আসন ও তৃণমূল পেতে পারে ২৩টি আসন। জনমত সমীক্ষাগুলি থেকে একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে এবারের লড়াই মূলত দ্বিমুখী – তৃণমূল বনাম বিজেপি। গণনার দিন কি এই ইঙ্গিত ভুল প্রমাণ করে খাতা খুলতে পারবে বাম, কংগ্রেস? নজর থাকবে সেদিকেও।