Purulia Incident: ‘আক্রান্ত’ সাধুরা, প্রতিবাদে বোসের দুয়ারে যাচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

Purulia: সাধু-সন্ত সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল শুরু হবে সুবোধ মল্লিক স্ক্যোয়ার থেকে। মিছিল শেষ হবে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অন্যতম মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, সাধু-সন্তদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁদের এই মিছিল।

Purulia Incident: 'আক্রান্ত' সাধুরা, প্রতিবাদে বোসের দুয়ারে যাচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
রাজভবনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2024 | 3:59 PM

কলকাতা: পুরুলিয়ায় সাধুদের উপর জনরোষ আছড়ে পড়ার ঘটনার প্রতিবাদে এবার পথে নামছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আগামিকাল (মঙ্গলবার) কলকাতার রাস্তায় এক প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে তারা। সাধু-সন্ত সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল শুরু হবে সুবোধ মল্লিক স্ক্যোয়ার থেকে। মিছিল শেষ হবে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অন্যতম মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, সাধু-সন্তদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁদের এই মিছিল। মিছিল শেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিতে যাবেন তাঁরা। সে কথাও জানালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই পুরুলিয়ার উপর দিয়ে একটি গাড়িতে চেপে উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে আসছিলেন কয়েক জন সাধু। সেই সময় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কয়েকজন স্থানীয় নাবালিকার থেকে কিছু তথ্য জানতে চাইছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভাষাগত সমস্যার কারণে, সেখানে একটি ভুল বোঝাবুঝির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার জেরেই স্থানীয় মানুষজনের রোষের মুখে পড়েন সাধুরা। অপহরণের চেষ্টা চলছে, সেই ভেবে গ্রামবাসীরা চড়াও হন সাধুদের উপর। ভাঙচুর করা হয় গাড়িও। ঘটনার পর তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে স্থানীয় থানার পুলিশ। সাধুদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহল থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। শনিবার কলকাতায় পা রেখেই সাধুদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ ও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শাসক শিবিরকে তুলোধনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

অন্যদিকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভাষাগত সমস্যার কারণে ভুল বোঝাবুঝির থেকেই এটি ঘটেছিল এবং এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেও জানিয়েছিলেন কুণাল।