AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Agnimitra Paul: লা গণেশনের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ায় অবাক হয়েছিলাম আমরা: অগ্নিমিত্রা

Agnimitra Paul: ‘গণতন্ত্র ফিরুক’, নতুন রাজ্যপালের প্রতি ‘আস্থা’ রেখে লা গনেশন নিয়ে ‘ক্ষোভের’ সুর অগ্নিমিত্রার গলায়।

Agnimitra Paul: লা গণেশনের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ায় অবাক হয়েছিলাম আমরা: অগ্নিমিত্রা
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2022 | 3:41 PM
Share

কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের ইতিহাস বহু পুরনো। তবে জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankar) আমলে তা কার্যত নতুন মাত্রা পায়। জগদীপ ধনখড়ের পর বাংলার অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন লা গণেশন। যা নিয়ে খুব একটা ‘খুশি’ ছিলেন না পদ্ম নেতারা। প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশও করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে (Agnimitra Paul)। ১৭ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে বাংলার দায়িত্বে আসেন ড. সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করা হয়। সাম্প্রতিক অতীতের দিকে নজর রাখলে দেখতে পাওয়া যাবে ধনখড় আমলে বঙ্গ রাজনীতিতে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের খবর প্রায়শই ঠাঁই পেয়েছে খবরের শিরোনামে। সেখানে লা গণেশন দায়িত্ব আসার পর বিরোধের আগুন খানিক স্থিমিত হতে দেখা যায়। এমনকী তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চেন্নাইয়েও যেতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই গণেশনই নাকি সময় দিচ্ছেন না বিজেপি নেতাদের। রাজ্যপালের কাছে সময় চাইলে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন অগ্নিমিত্রা। ‘বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি বিধায়করা অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইছেন, কিন্তু আমাদের দেওয়া হচ্ছে না।’ এ কথা শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। এরমধ্যে পদ্ম শিবিরের রাজ্যপালকে নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে গণেশনের জায়গায় চলে আসেন সিভি আনন্দ বোস।

যদিও অগ্নিমিত্রার দাবি, এটা একেবারেই কাকতালীয়। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে এসে টিভি-৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে এ কথা বললেন অগ্নিমিত্রা। তাঁর কথায়, “এর আগেও আমরা মাননীয় লা গণেশনের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। বিরোধী দলনেতাকে সঙ্গে নিয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু, রাষ্ট্রপতিকে অপমানের ঘটনার পর আমরা ওনার সঙ্গে দেখা করার জন্য যাই। অভিযুক্ত মন্ত্রীর বহিষ্কার দাবি জানাই। কিন্ত, দেখা করার জন্য খোদ বিরোধী দলনেতা দেখা করার অনুমতি পাচ্ছেন না। এটা আমাদের খুব খারাপ লেগেছিল। আমার মনে হয়, ওখানে যিনি সচিব আছেন। তিনি কলকাঠি নাড়ছিলেন। উনি চালনা করছিলেন গোটা বিষয়টিকে। আমরা দেখব আগামীতে যাতে উনি আর এ কাজ না করতে পারেন।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “তবে লা গণেশনের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া দেখে আমাদের একটু অবাক লেগেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হিংসার রাজনীতি করে এসেছেন সেটা মনে হয় লা গণেশনজি বুঝতে পারেননি।” 

একইসঙ্গে এদিন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অগ্নিমিত্রা বলেন, “উনি আমাদের সময় দিতেন। অনেক সময় এমন হয়েছে উনি মুখ্যমন্ত্রীকে সময় দিয়েছেন। এমনও হয়েছে কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের রাগ হয়েছে। তবে ওনার সঙ্গে কথা বলা যেত।” নতুন রাজ্যপাল নিয়ে কী আশার আলো দেখছেন? অগ্নিমিত্রার সাফ জবাব, “এখন যেটা দরকার বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। যিনি এসেছেন আমরা তাঁর কাছে এটাই আশা করব। একইসঙ্গে নিরপেক্ষভাবে উনি যেন জিনিসগুলিকে দেখেন এটাই চাইব।”