West Bengal Weather Update: কলকাতা থেকে ঠিক কত দূরে ঘূর্ণাবর্ত? ভারী বৃষ্টির আশা কি আদৌ আছে?

Weather Update: জুন মাসে রীতিমতো বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। জুলাই মাসেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

West Bengal Weather Update: কলকাতা থেকে ঠিক কত দূরে ঘূর্ণাবর্ত? ভারী বৃষ্টির আশা কি আদৌ আছে?
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 6:08 PM

কলকাতা: জুন পেরিয়ে জুলাই মাসের বেশ কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে। বৃষ্টির জন্য যে অপেক্ষা চলছিল, সেই অপেক্ষাই জারি আছে। এখনও পর্যন্ত কোনও আশার কথা শোনাতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরাও। ঘূর্ণাবর্তের যে ক্ষীণ আশা তৈরি হয়েছিল, সেটাও এখন অনেক দূরে। আগামী ৪-৫ দিনেও কোনও ভারী বৃষ্টির আশা নেই। বৃষ্টি হলেও ওই ৫ থেকে ১০ মিনিট। জুন মাসে তো বৃষ্টির ঘাটতি ছিলই, এবার কৃষকদের চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে জুলাইয়ের আবহাওয়া।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণবঙ্গ থেকে এখনও বৃষ্টি বহুদূরে। গত পাঁচ দিন ধরে দুর্বল মৌসুমী বায়ুর প্রভাব চলছে রাজ্যে। কোনও সিস্টেম তৈরি হচ্ছে না বঙ্গোপসাগরের ওপর। তার ফলে আপাতত দুই বঙ্গেই বৃষ্টি অধরা থাকছে। উত্তরবঙ্গে জুন মাসে প্রবল বৃষ্টি হলেও দক্ষিণে জারি ছিল অস্বস্তি। তবে আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গও শুষ্ক থাকবে।

জানা গিয়েছে, একটি ঘূর্ণাবার্ত রয়েছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে। ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের কাছে অবস্থান করছে সেটি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, রাজ্য থেকে এই সিস্টেমটি অনেক দূরে। মৌসুমী অক্ষরেখাও অনেকটা দক্ষিণ দিকে রয়েছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে এবং উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা থাকছে না। সক্রিয় মৌসুমী বায়ু নেই বললেই চলে।

আগামী চার -পাঁচ দিন হালকা বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গে। সব জায়গাতেই ৫ থেকে ১০ মিনিটের বৃষ্টি চলবে বলে জানা গিয়েছে। বেশিরভাগ সময়টাই আকাশ পরিষ্কার থাকবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে গেলে বড় সিস্টেমের দরকার, কিন্তু সেটা এখন নেই বলেই জানা যাচ্ছে, তাই অস্বস্তিকর পরিবেশ বজায় থাকছে। জুনের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত যে ভাবে বৃষ্টির ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এই প্রথম বলেই জানা যাচ্ছে।

প্রায় ১০ বছর পর এ বছরই প্রথম জুনে নিম্নচাপ-শূন্য বঙ্গোপসাগর। তারই মাসুল গুনছে দক্ষিণবঙ্গ। তবে দক্ষিণে ঘাটতি থাকলেও জুন মাসে উত্তরে অতিবৃষ্টি দেখা  গিয়েছে। ৬০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গ-সিকিম মিলিয়ে। যার জেরে একবার নয়, দু’দু’বার বানভাসি হয়েছে উত্তর।