দোতলা বাড়ির সমান হবে জলস্তর, সন্ধ্যা ৭টার পর কলকাতা-সহ ২ জেলার অবস্থা আরও ভয়াবহ
Weather Update: দুর্যোগ-দুর্ভোগের অন্ত নেই। নিম্নচাপের পিছনেই আরও একটি নিম্নচাপের আশঙ্কা।
কলকাতা: শক্তি বাড়িয়ে গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপ। তবে নিম্নচাপ ওড়িশার ভিতরে ঢুকে পড়ায় দুর্যোগ থেকে বড় রেহাই বাংলার। সর্বশক্তি নিয়ে ওড়িশাকে ভাসাচ্ছে নিম্নচাপ। তবে নিম্নচাপের জেরে কলকাতায় চলবে টানা বৃষ্টি। কলকাতা ও তার সংলগ্ন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় টানা ভারী বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। বেলা ১টার বুলেটিন অনুযায়ী, আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি হবে হাওড়া, হুগলি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
আজ সন্ধ্যা ৬. ৫৭ মিনিটে গঙ্গার জলস্তর হবে ৪.৫৯ মিটার অর্থাত্ ১৫ ফুটের বেশি। প্রায় দোতলা বাড়ির সমান হবে জলস্তর। লকগেট বন্ধ থাকবে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর সময়ের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর পাম্পস্টেশনগুলি সূত্রে খবর, যদি লকগেট বন্ধ থাকার সময়ে বৃষ্টি হয়, তাহলে ভাসবে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা।
দুর্যোগ-দুর্ভোগের অন্ত নেই। নিম্নচাপের পিছনেই আরও একটি নিম্নচাপের আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্র বাংলা লাগোয়া বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে পারে। সেটিও নিম্নচাপে ঘনীভূত হবে, এমনই সম্ভাবনা দেখছেন আলিপুরের আবহবিদরা। শনিবার ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টি চলবে রবিবারও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলায়। ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে কলকাতা হাওড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে।
বৃষ্টির কমলা সর্তকতা রয়েছে তিন জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টি হতে পারে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত। ১০০ মিলি মিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া ও পুরুলিয়া জেলায়।
তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নিম্নচাপ ওড়িশার ভিতরে ঢুকে পড়ায় দুর্যোগ থেকে বড় রেহাই বাংলার। সর্বশক্তি নিয়ে ওড়িশাকে ভাসাচ্ছে নিম্নচাপ। রেকর্ডভাঙা বৃষ্টি পুরী-ভুবনেশ্বর-পারাদীপে। পশ্চিমে আরও এক নিম্নচাপের দাপটে ভাসছে গুজরাত। সেপ্টেম্বরে যা বৃষ্টি হয়, তার তিন গুণ বৃষ্টি হয়েছে মাত্র আট ঘণ্টায়।
মৌসমভবন সূত্রে খবর,পুরী শহরে বৃষ্টি হয়েছে ৩৪৩ মিলিমিটার। ভেঙেছে সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির সর্বকালীন রেকর্ড। সেপ্টেম্বরে পুরীতে বৃষ্টি হওয়ার কথা ২৫৫ মিলিমিটার। ভুবনেশ্বরে বৃষ্টি হয়েছে ২০০ মিমি, পারাদীপে ২২১ মিমি।
এদিকে, গুজরাটের অবস্থাও ভয়াবহ। ভাসছে গুজরাতের রাজকোট, জুনাগড়, জামনগর। বন্ধ স্কুল-কলেজ। ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন। রাস্তার উপর উঠে এসেছে নদী।
আরও পড়ুন: হাত দিয়ে চেপে যৌনাঙ্গ, ফিনকি দিয়ে বেরোচ্ছে রক্ত! সিভিক ভলেন্টিয়ারের অবস্থায় স্থবির প্রতিবেশীরা