Subrata Mukherjee Passes Away: সাদা তোয়ালেয় ঢাকা চেয়ার, টেবিলে খোলা খাতা, মাস্ক! সুব্রতহীন বালিগঞ্জের অফিসও থম মেরে
Subrata Mukherjee: এ বাড়িতেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অফিস। প্রতিদিন অগনিত মানুষ এসে ভিড় করেন অফিস ঘরে। সাদা ধবধবে তোয়ালে দিয়ে ঢাকা চেয়ারে এসে বসেন সুব্রত।
কলকাতা: কালীপুজোর পরদিনের সকালটা এমনিতেই একটু অন্যরকম হয়। হালকা শীতের আভাস, মিঠে কড়া রোদে খুব দূরে কোথাও মন খারাপের বাঁশি বাজে। শুক্রবারও তেমনই সকাল। মন খারাপ আরও গাঢ় বালিগঞ্জের মুখোপাধ্যায় বাড়িতে। বাড়ির ছেলেটাই যে চলে গেল!
এ বাড়িতেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অফিস। প্রতিদিন অগনিত মানুষ এসে ভিড় করেন অফিস ঘরে। সাদা ধবধবে তোয়ালে দিয়ে ঢাকা চেয়ারে এসে বসেন সুব্রত। মাঝে টেবিল। ওপারে সাজানো চার-পাঁচটি চেয়ার। লোকজন এসে সমস্যার কথা বলেন, রাজনীতির কত আলোচনা-পরিকল্পনা হয়। চায়ের আড্ডা, তর্ক, রণনীতি নির্ধারণ, কত কিছুর সাক্ষী এই ঘরটা।
শুক্রবার সকালে একেবারে থম মেরে রয়েছে। একটা শূন্যটা ঘরের ভিতর। সুব্রত মুখোপাধ্যায় যে আর নেই! এদিনও চেয়ারের জায়গায় পাতা রয়েছে চেয়ার। সুন্দর পরিপাটি করে রাখা সেই সাদা তোয়ালেখানা। সামনের টেবিলে খোলা খাতা, পেপারওয়েট, রাখা রয়েছে একটা মাস্ক, স্যানিটাইজারের বোতলও।
সবকিছুই আলগোছে পড়ে রয়েছে। ওদের দিকে আর তাকানোর কেউ নেই। বাড়ির দফতরখানার দেওয়াল জুড়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ফ্রেমবন্দি নানা মুহূর্ত। কেবল রাজনৈতিক জীবনের ছবিই নয়, সুব্রতর অরাজনৈতিক জীবনেরও নানা মুহূর্ত টাঙানো সেখানে। সবই আছে, শুধু নেই বর্ষীয়ান সেই রাজনীতিকই।
বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাত ৯ টা ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২৫ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার কথা ছিল শুক্রবারই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হার্ট অ্যাটাক। মুহূর্তে সব শেষ।
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, করোনারি অর্টারিয়াল ডিজিজে হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশীও দুর্বল ছিল বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতার। সোমবার বুকে দুটি স্টেন্ট বসানো হয়। তারপরের দু’দিন হৃৎপিণ্ডের ছন্দপতন ঘটেনি। গতকাল সন্ধ্যায় মেডিক্যাল বোর্ডের দুই সদস্য চিকিৎসকের ভিজিটের সময়ও সুস্থ ছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সন্ধ্যা ৬.৪৫ নাগাদ হাসপাতাল ছাড়তেই বিপত্তি। সেই লড়াই থেকে আর ফিরতে পারলেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ১১ দিনের লড়াই শেষে না ফেরার দেশে পঞ্চায়েতমন্ত্রী।