AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CM Mamata Banerjee: ‘চাকরিগুলো কিন্তু আমাদের জন্য যায়নি’, সাফ জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

CM Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "প্লিজ আমায় এই বিষয় নিয়ে বলতে বলবেন না। ওদের প্রতি আমার যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে। ছিল এবং থাকবে। আমি তো মিটিং করে বলেছিলাম যে আমরা রিভিউ আবেদন করব।"

CM Mamata Banerjee: 'চাকরিগুলো কিন্তু আমাদের জন্য যায়নি', সাফ জবাব মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ফোটো)Image Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2025 | 1:26 PM

কলকাতা: চাকরি ফেরাতে হবে, এই দাবিতে দিনের পর দিন বিকাশ ভবনের সামনে বসে রয়েছে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তারা দাবি করেছে, মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে হবে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “আমি তো মিটিং করে বলেছিলাম যে আমরা রিভিউ আবেদন করব। আদালতের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, একটা বাধ্য-বাধকতা থাকে।”

এদিন চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্লিজ আমায় এই বিষয় নিয়ে বলতে বলবেন না। ওদের প্রতি আমার যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে। ছিল এবং থাকবে। আমি তো মিটিং করে বলেছিলাম যে আমরা রিভিউ আবেদন করব। আদালতের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, একটা বাধ্য-বাধকতা থাকে। আমাদের দিক থেকে আমরা রিভিউ পিটিশন করেছি। যদি রিভিউ পিটিশন অ্যালাও করে, তবে ভাল কথা। কিন্তু কোর্ট যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা মানতে বাধ্য। আমরা বলতে পারি না যে কোর্টের সিদ্ধান্ত মানব না। এখনও পর্যন্ত কারোর মাইনে বন্ধ হয়নি। এমনকী, গ্রুপ-সি যারা টাকা পাবে না, তাদের জন্যও বিশেষ স্কিম করে টাকা দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার একটা জিনিস খারাপ লাগে, যারা উসকাচ্ছে, তারাই কিন্তু এই মামলা করেছে। চাকরিগুলো কিন্তু আমাদের জন্য যায়নি। চাকরিগুলি যাদের জন্য যাওয়ার পথে, আমি তাদের বলব, এটা না করলেই পারতেন। যারা চাকরি খেয়েছেন, তারাই যদি আজকে স্বার্থরক্ষার গুরু হয়ে যায়, সেখানে আমার আপত্তি আছে। তাদের রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করা উচিত ছিল। আমি নিজে ওদের সঙ্গে মিটিং করেছি। শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা ন্যূনতম সম্মান, সৌজন্য প্রত্যাশা করি। রাজনীতির উর্ধ্বে থেকে তারা সমাজকে সেবা করুক। বাচ্চাদের শিক্ষা দিক। সবাই সমান নয়, অনেকে কাজ করছেন।”

আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেই তিনি বলেন, “যারা আন্দোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ নেই। আমার অভিযোগ একটাই,  কাউকে আটকে রাখা যায় না। পথ আটকে মানুষের ক্ষতি করা যায় না। এতে বাইরের লোকেরা আছে, শিক্ষকের সংখ্যা কম। প্রেগন্যান্ট মহিলা, তাকে ১৪ ঘণ্টা-১৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হচ্ছে। একজন পরীক্ষা দিতে এসেছেন, তাকে নামতে দেওয়া হয়নি। সে লাফ দিয়েছে, পায়ে চোট রয়েছে। মানবিকতাকে শ্রদ্ধা করলে তাকে ভালবাসা যায়, শ্রদ্ধা করা যায়। আন্দোলনের বিপক্ষে নই, কিন্তু আন্দোলনেরও একটা লক্ষ্মণরেখা আছে। আমি তো বলব, এখানে আন্দোলন না করে আইনি লড়াই করুন। আমরা সবরকমভাবে পাশে আছি। যে রাজনৈতিক দলগুলি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বলব, কোর্টে তো কেসটা আপনারা করেছিলেন, সেটা করা কি ঠিক ছিল?”