কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক শিক্ষাকর্তা। হাইকোর্টের নির্দেশে একের পর এক চাকরি বাতিল হচ্ছে। এসব দেখে কি বিড়ম্বনা বোধ করেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)? টিভি নাইন বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য এসবের মধ্যেও পজিটিভ দিকগুলিকেই দেখছেন। জানালেন, চাকরি যেমন বাতিল হয়েছে, তেমনই একইসঙ্গে কাউন্সেলিং শুরু হয়ে গিয়েছে। বললেন, ‘যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন, তাঁদের আমরা চাকরি দিতে চাইছি।’ এবারের টেট (TET) পরীক্ষা ভীষণভাবে সফল বলেই মনে করছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানালেন, ‘প্রাইমারিতে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই আমরা ১১-১২ হাজার চাকরি দিয়ে দেব।’
শুধু প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগই নয়, এর পাশাপাশি এসএসসি-র ক্ষেত্রেও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পথে এগোচ্ছে রাজ্য, সেই কথাও জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। টিভি নাইন বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন, ‘আমরা খুব শীঘ্রই এসএসসির ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দিকে যাচ্ছি।’ রাজ্য সরকার যে নতুন নিয়োগের বিষয়ে ভীষণভাবে সচেষ্ট, সেকথা বার বার বুঝিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসে যদি সার্ভিস রুল ঠিক হয়ে যায়, তাহলে মে মাস নাগাদ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন জারি করা হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রায় আড়াই হাজার শূন্যপদে রাজ্য সরকার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, অনেকেই এই বিষয়ে দুর্নীতি বা চাকরি বাতিলের মতো বিষয়গুলিকে বড় করে দেখাতে চাইছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এখান থেকে পজিটিভ দিকগুলি নিয়েই এগোতে চাইছে। ব্রাত্য বসু বললেন, ‘আমরা আশাবাদী, নতুন নিয়োগের পথে খুব শীঘ্রই যাচ্ছি।’ তাঁর বক্তব্য, এই সবের মধ্যে থেকে কেবল নেতিবাচক দিকগুলিকেই মানুষ বেছে নেবে, নাকি ইতিবাচক দিকগুলিকেও বেছে নেওয়া হবে, সেটি সাধারণ মানুষ বিচার করবেন।