Fake Job: লক্ষ লক্ষ টাকায় ট্রেনিং, হাতে গুঁজে দেওয়া হতো জাল নিয়োগপত্র! বড় চক্র তথ্যপ্রযুক্তি নগরীতে

Fraud Case: আগেও কলকাতা পুলিশের বউবাজার থানা গ্রেফতার করেছিল বিপ্লব সিনহাকে। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত।

Fake Job: লক্ষ লক্ষ টাকায় ট্রেনিং, হাতে গুঁজে দেওয়া হতো জাল নিয়োগপত্র! বড় চক্র তথ্যপ্রযুক্তি নগরীতে
অভিযোগকারী ভাস্কর হালদার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 7:53 AM

কলকাতা: দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল। তথ্যপ্রযুক্তি নগরীতে অফিস খুলে বিমানবন্দরের (Airport) বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ দায়ের হল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়। অভিযুক্তের নাম বিপ্লব সিনহা। তাঁর একটি অ্যাভিয়েশন সার্ভিসের সংস্থা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত বিমানসংস্থার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেখানে। আর এই সংস্থা দেখিয়েই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ জানান হরিদেবপুরের এক চাকরিপ্রার্থীর বাবা। যদিও এই প্রথমবার নয়। এর আগেও বিপ্লব নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতারও হন তিনি। এই মুহূর্তে অবশ্য তিনি জামিনে মুক্ত। এবার নতুন অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।

ওই চাকরি প্রার্থীর বাবার অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তাঁর মেয়েকে। সে কারণে ৬,৬৫০০০ টাকা নেওয়া হয়। যদিও এয়ার ইন্ডিয়ায় চাকরি সেই তরুণীর হয়নি। তবে তাঁর বাবার দাবি, অন্য চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পান মেয়ে। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পোস্টিংয়ের কথা উল্লেখ করে চলতি বছরের ১ জুলাই ইমেল পান ওই তরুণী।

ইমেল মারফত নিয়োগপত্র দেওয়া হয় বলেও দাবি অভিযোগকারীর। সেইমতো চাকরি প্রার্থী দিল্লি বিমানবন্দরে কাজে যোগ দিতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, সেই নিয়োগপত্র জাল। এরপরই বিপ্লব সিনহার ওই সংস্থায় যোগাযোগ করেন তাঁরা। অভিযোগ, সংস্থায় কথা বলতে গেলে তারা বিভিন্নভাবে টালবাহানা করতে থাকে।

আগেও কলকাতা পুলিশের বউবাজার থানা গ্রেফতার করেছিল বিপ্লব সিনহাকে। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। তবে এবার বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ফের প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হল। শুধু তরুণীর বাবা নন, একাধিক অভিযোগকারী রয়েছেন যাঁরা প্রতারণার শিকার বলে দাবি করেছেন। এরকমই এক চাকরি প্রার্থী ভাস্কর হালদার বলেন, “প্রথমে চাকরি দেবে বলেই টাকা নিয়েছিল। পরে জানানো হয় ট্রেনিং দেবে। ট্রেনিং হল, অথচ তারপর আর যোগাযোগ নেই। কোনও কাজই দেয় না। ফোন করলে ফোনও ধরে না।”