COVID-19: চিনে দাপট দেখানো বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়েন্ট রুখতে সক্ষম কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিন? খতিয়ে দেখবে রাজ্য

BF.7 Sub Variant: কোভিড মনিটরিং কমিটির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,  গত একমাসে রাজ্যে যতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং করানো হবে।

COVID-19: চিনে দাপট দেখানো বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়েন্ট রুখতে সক্ষম কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিন? খতিয়ে দেখবে রাজ্য
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2022 | 8:45 AM

কলকাতা: চিনে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের দাপটে করোনার এই বাড়বাড়ন্তের পরই সতর্ক হয়েছে কেন্দ্রও। ঢিলেঢালা মনোভাবের জেরে যাতে কোনওভাবেই ২০২০-২১ সালে করোনা পরিস্থিতি ফিরে না আসে, তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে প্রতিটি রাজ্যকেও। দফায় দফায় বসছে বৈঠক। বারংবার মাস্ক পরা থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায়, যাবতীয় করোনা বিধিনিষেধ মানার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও। সেই বৈঠকে গত একমাসের কোভিড পজিটিভ সমস্ত নমুনাযর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ -কে রুখতে বর্তমান করোনা টিকাগুলি কার্যকর কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারই নবান্নে কোভিড মনিটরিং কমিটির বৈঠকে করোনার নতুন সাব ভ্য়ারিয়েন্ট বিএফ.৭-র প্রভাব এবং সংক্রমণ রুখতে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন ও কোর্বেভ্যাক্সের মতো করোনা টিকা কার্যকর কি না, তা নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যের করোনা বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যেরা। আজ, শুক্রবার রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে রাজ্যের তরফে করোনা টিকাকরণ নিয়ে এই প্রশ্ন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরা হতে পারে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর।‌

দেশের দুই রাজ্যে ওমিক্রনের সাব-ভ্য়ারিয়েন্ট বিএফ.৭ হদিস মিলেছে। এরপর থেকেই চিন্তা, এ রাজ্যেও কি হানা দিয়েছে বিএফ.৭? কারণ প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতেই এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত দুইজনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যে যাতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ না হয়ে ওঠে, সেই কারণেই নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

কোভিড মনিটরিং কমিটির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,  গত একমাসে রাজ্যে যতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং করানো হবে । আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সব নমুনা জেলাগুলিকে এন‌আইবিএমজি বা এসটিএমে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এক‌ইসঙ্গে উৎসবের মরসুমে যথাসম্ভব কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য সচেতনতার প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে কোভিড এইচডিইউ-আইসিইউ পরিকাঠামো কেমন রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অক্সিজেন সরবরাহে যাতে সমস্যা না হয় তাও নিশ্চিত করার কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।