Bratya Basu Exclusive: আন্দোলন করে চাকরি হবে না, স্পষ্ট জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

Bratya Basu: যাদবপুরের আর্থিক সঙ্কট নিয়েও মুখ খোলেন ব্রাত্য।

Bratya Basu Exclusive: আন্দোলন করে চাকরি হবে না, স্পষ্ট জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
ব্রাত্য বসু।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2022 | 7:36 PM

কলকাতা: আন্দোলন করলেই চাকরি হয়ে যাবে, এমনটা নয়, বুঝিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu) এদিন টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, “টেটের বিজ্ঞপ্তিতে কিছু মামলা যেমন ন্যায়সঙ্গত। এমনও কিছু মামলা হচ্ছে, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। বিরোধীরা এই আন্দোলনকারীদের দাবার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করছে। আন্দোলনকারীদের বলব আমাদের উপর ভরসা না রাখলেও কোর্টের উপর ভরসা রাখুন। নিয়োগ প্রক্রিয়া বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে বিরোধীরা। বিরোধীরা রাজনৈতিক ধুয়ো দিয়েছে আন্দোলনে। আন্দোলন করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আন্দোলন করলেই তো চাকরি পাওয়া যাবে না, চাকরি তো হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার ভিত্তিতে। আন্দোলনের ভিত্তিতে তো চাকরি হয় না।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষার প্রার্থীরা চাকরি পেতে শুরু করেছেন। প্রধান শিক্ষকের রুল সংশোধন হচ্ছে। আগামিদিনে স্বচ্ছ নিয়োগ হবে। গতকাল দেখে আগামিকাল বিচার করলে হবে না।”

সম্প্রতি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক হাল নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাক্তনীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাওয়ার পর তা যেন আরও জোর বাড়ায় বিরোধীদের। যদিও যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের বক্তব্য ছিল, রাজ্য সাহায্য করছে। তবে পরিকাঠামোকে আরও সুদৃঢ় করতে প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, “রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের কোনও টাকা পাচ্ছে না। রাজ্য ম্যাচিং গ্র্যান্ট দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। শুধু হুমকি দিচ্ছে। কুক্ষিগত করার চেষ্টা হচ্ছে। পলিটিকাল ফাইটের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভাতে মারার চেষ্টা চলছে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁদের সরকার রাজনীতির রং দেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচার করে না। ব্রাত্যর কথায়, “সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আছে কি না তা দেখে আমরা বিচার করি না। কেন্দ্র রাজনৈতিক রং দেখে করছে।” যাদবপুর প্রসঙ্গে তিনি জানান, উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এ বছরে ২৮ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য তাদের। গোটা দেশের গর্ব এই প্রতিষ্ঠান।

তবে আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্যের প্রায় প্রায়ই সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলেও বর্তমান রাজ্যপাল লা গণেশনকে নিয়ে তাঁরা যে খুশি এদিন তা বুঝিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু। পদাধিকার বলে রাজ্যপাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত মিটছে। চ্যান্সেলর নমিনি এসেছেন। এখন মাননীয় রাজ্যপাল আমাদের সহযোগিতা করছেন।” তবে কেরলের প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন ব্রাত্যর, “এখানে সহযোগিতা করলেও কেরলে কি তা হচ্ছে? কেন্দ্র সরকারের ইচ্ছা তো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”