Haimanti Ganguly: অর্পিতাকেও হার মানাতে পারেন হৈমন্তী! দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক নাকি গোপালের বৌ
Gopal Dalapati: যদিও গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, হৈমন্তী নিরপরাধ। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের শিকার তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।
কলকাতা: তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল গোপাল দলপতির কথা। সেই কুন্তলের মুখেই এরপর শোনা যায় হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা। যে নারীর পরতে পরতে রহস্যের শল্ক। একের পর এক সে শল্ক মোচন হচ্ছে, উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। অভিনেত্রী, মডেল হৈমন্তীর বিভিন্ন সম্পত্তি, গোপালের সঙ্গে যৌথ পরিচালনায় সংস্থার সন্ধানের পর এবার সূত্রের দাবি হাজার কোটি টাকার মালিক এই হৈমন্তীও। অর্থাৎ গোপাল-হৈমন্তীর আবির্ভাবে ফের একবার ‘অপা’কাণ্ডের ছায়া। অনেকে আবার বলছেন, নিছক ছায়া নয়, গোপাল-হৈমন্তী হতে পারেন আস্ত বটগাছও। যে বটগাছের শিকড়ের পরতে পরতে জড়িয়ে চাকরি কেলেঙ্কারির বীজ। এখনও পর্যন্ত অনুমান ও তদন্তে উঠে আসা তথ্যেই চোখ কপালে উঠেছে সকলের। কারণ, মনে করা হচ্ছে এই রহস্যময়ী হৈমন্তীর ভান্ডারে থাকতে পারে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি।
যদিও গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, হৈমন্তী নিরপরাধ। তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের শিকার তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। যদিও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকা কুন্তল ঘোষ দাবি করেছেন, “এসব তদন্ত ঘোরানোর জন্য কথা বলে লাভ নেই। যা টাকা আছে, তা গোপাল দলপতি এবং হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। হৈমন্তী গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের বউ। যেটা তদন্তে উঠে এসেছে, আপনাদের বলে দিলাম।”
এরপরই গোপাল, হৈমন্তী আরও বেশি করে উঠে আসেন প্রচারের আলোয়। তবে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যে সাপ বেরোনোর উপক্রম হয়েছে, বলছেন তদন্তকারীরাই। গোপাল, হৈমন্তীর সম্পত্তি নিয়েও নানা সূত্র থেকে বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলায় নামে-বেনামে কমপক্ষে ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। একাধিক জেলায় বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে বলে সূত্রের দাবি। বীরভূমে গোপাল, হৈমন্তীর নামে হোটেল, গেস্ট হাউজ রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
মুচিপাড়া-সহ কলকাতায় একাধিক ফ্ল্যাট। মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে অফিস। গোপাল, হৈমন্তী বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটলেও তাঁদের এখনও ব্যাঙ্কের পাসবইয়ে একসঙ্গে নাম রয়েছে। গোপাল ওরফে আরমানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নমিনির জায়গায় রয়েছেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ই। এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা আছে কি না তা জানতে মরিয়া ইডি, সিবিআই। ইডি ইতিমধ্যে একবার ডেকেওছিল গোপালকে। ২ মার্চের পর সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার কথা গোপালের। তবে হৈমন্তী এখন কোথায়, তা স্পষ্ট নয়। এখনও তিনি রহস্যময়ীই।