Group D Recruitment Case: স্কুলে ঘণ্টা বাজানোর লোক থাকবে? গ্রুপ ডি’র ‘অবৈধ’ ১৬৯৮ জনের তালিকা পাঠাচ্ছে এসএসসি

SSC: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক অভিযোগ এসএসসির বিরুদ্ধে।

Group D Recruitment Case: স্কুলে ঘণ্টা বাজানোর লোক থাকবে? গ্রুপ ডি’র ‘অবৈধ’ ১৬৯৮ জনের তালিকা পাঠাচ্ছে এসএসসি
কলকাতা হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2022 | 7:34 PM

কলকাতা: গ্রুপ ডি (Group D) মামলায় ১৬৯৮ জন অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের শনাক্ত করতে ডিআইদের চিঠি স্কুল শিক্ষা দফতরের। ১৬৯৮ জনের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১৬৯৪ জন। তাঁদের আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে অবহিত করবেন ডিআই। অভিযোগ, এই নিয়োগপত্র প্রাপকদের মধ্যে অনেকেরই সুপারিশপত্র নেই। অনেকেই সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তে উঠে আছে ১ হাজার ৬৯৮ জনের নাম। তাঁদের ওএমআর শিটের তথ্য বিকৃত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁদের সবার নাম, ঠিকানা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বৃহস্পতিবার সেই তালিকা জমা পড়ে আদালতে। এদিনই এই তালিকায় নাম থাকা কর্মীদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে চেয়েছিল আদালত। কিন্তু রাজ্যের তরফে আপত্তি জানানো হয়। তবে রাজ্যের যুক্তি ছিল, এভাবে যদি এতজনকে হঠাৎ বসিয়ে দেওয়া হয় তাহলে স্কুলের গেট খোলার লোক পাওয়া যাবে না। বহু স্কুলে ঘণ্টা বাজানোর লোকও থাকবেন না।

রাজ্যের এই বক্তব্যের পরই বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, আপাতত ডিআইদের কাছে যেন ১ হাজার ৬৯৮ জনের নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডিআই তাঁদের কোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে জানাবে। সেইমতোই এবার তালিকা পাঠানো শুরু করল এসএসসি। ২৪ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে। সেখানে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, এই ১ হাজার ৬৯৮ জন কর্মীর ভবিষ্যৎ কী হবে।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক অভিযোগ এসএসসির বিরুদ্ধে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডি, নানা অভিযোগে জর্জরিত কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্তে নামে। অভিযোগ, তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটেরও সন্ধান পায় তারা।

বিটিইএ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যকর করার জন্য কমিশনারের দফতর থেকে প্রত্যেক ডিআইকে একটি করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে আদালতের নির্দেশে ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডির বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করে খুঁজে পেয়েছে সেগুলি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, সেগুলি নিয়ে প্রত্যেককে নোটিস পাঠাতে হবে। সঙ্গে তালিকাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কে কোন স্কুলে চাকরি করেন, তাও স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে।”