কলকাতা : বাগবাজারের ভয়াল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছেদ পড়তে না পড়তেই ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের(Fire) শিকার হল খাস নিউটাউনের সুলঙ্গুরি কলোনি। বৃহস্পতিবারের ভরসন্ধ্যায় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ৬ টি অস্থায়ী ঝুপড়ি। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
আগুন(Fire) লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। অত্যন্ত ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় যদিও দমকল এসে পৌঁছতে পারেনি। স্থানীয় যুবকদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, রান্নার গ্যাস থেকেই আগুন লেগে যায় একটি ঝুপড়িতে। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘরগুলি জলাশয় এর উপরে বাঁশ এবং কাঠের তৈরি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের তৎপরতায় বাড়ির নিচে জলাশয় থেকে জল তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়।
আরও পড়ুন : ‘আমি আছি, ভরসা রাখুন, সব আগের মতো করে দেব’, বাগবাজারে অভয় মমতার
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কার্যত তিনিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতো ‘আগুনে রাজনীতির’ প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আগুন এমনি লেগেছে না লাগানো হয়েছে। গতকাল বাগবাজার, আজ এখানে। ব্যাপারটা একটু ফিশি নয় কী? মুখ্যমন্ত্রী এসে দেখুন ঝাঁ চকচকে নিউটাউনেরই সম্পূর্ণ অন্য একটি ছবি।’ যদিও রাজারহাট তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, যাদের ঘর নষ্ট হয়েছে তাদের প্রত্যেকের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়া হবে। যতদিন না সব আগের মতো হচ্ছে ততদিন আক্রান্ত পরিবারের সমস্ত দায়িত্বও নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : কীভাবে লাগল আগুন? সূত্র খুঁজতে বাগবাজার বস্তিতে আজ ফরেনসিক টিম
প্রসঙ্গত, বাগবাজার অগ্নিকাণ্ডে(Fire) মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজই আক্রান্ত বাসিন্দাদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘নির্মাণের জন্যই আগুন লাগানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হোক।’ নিউটাউন অগ্নিকাণ্ডেও এবার কার্যত একই রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখা গেল তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে।