AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Snehashish VS Soumitra Khan: ‘দিলীপ ঘোষ কী করে যান ওখানে?’, স্নেহাশিসের প্রশ্নে পাল্টা তোপ সৌমিত্র খাঁয়ের

Hooghly: সোমবার কোন্নগরে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

Snehashish VS Soumitra Khan: 'দিলীপ ঘোষ কী করে যান ওখানে?', স্নেহাশিসের প্রশ্নে পাল্টা তোপ সৌমিত্র খাঁয়ের
সৌমিত্র খাঁ ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2023 | 5:05 PM
Share

কলকাতা: হাওড়ার পর হুগলিতে (Hooghly) অশান্তি নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। অন্যদিকে শাসকদলের দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যের সঙ্গে বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিক্তিতে মেপে নিলেই বোঝা যাবে, বাংলা কতটা সুরক্ষিত। সোমবার কোন্নগরে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুলিশের বক্তব্য, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি। সুকান্তের অভিযোগ, “তৃণমূলের সাংসদ, চেয়ারম্যান ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের জন্য কি কোনও ধারা নেই?” বিরোধীদের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর (Snehashish Chakrabarty) বক্তব্য, “আমাদের রাজ্যে গণতন্ত্র আছে বলেই মুখ্যমন্ত্রী সবসময় বলেন, আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করলে, কাউকে রেয়াত করা হবে না।” একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে জায়গায় এই মুহূর্তে পুলিশি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন, সেখানে কেন সুকান্ত মজুমদারকে যেতে হল? স্নেহাশিস বলেন, “সুকান্ত মজুমদার ওখানে গিয়ে কী করছেন? উনি বাইরে থেকে আসছেন কীভাবে? ওখানে স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারেন। তাঁর দায়িত্ব আছে। বাইরে থেকে দিলীপ ঘোষ কী করে যান ওখানে? উনি কতটুকু জানেন এলাকা সম্পর্কে?”

যদিও স্নেহাশিসের বক্তব্য নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে বেরিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় যাচ্ছে। ভাঙড়ে আইএসএফ যে দল তাদের কাছে যাচ্ছে, সিপিএম, কংগ্রেসের কাছে যাচ্ছে। বিজেপিও রাজনীতিতে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তৃণমূল গোষ্ঠী মেরুকরণের রাজনীতি করে। ওরা সংখ্যালঘু ভোটের উপর দাঁড়িয়ে। তাই এত অশান্তি।”

তবে সৌমিত্রর এই বক্তব্য খণ্ডন করেছেন স্নেহাশিস। তাঁর যুক্তি, “একুশের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ২ কোটি ৮৮ লক্ষ ভোট পেয়েছে। এটা স্বাধীনতার পর রেকর্ড। কোনও দল এত ভোট পায়নি। হিন্দু, মুসলমান-সহ সকলে ভোট দিয়েছেন। তৃণমূল ধর্মের রাজনীতি করেন না। বিজেপি কোনও উন্নয়ন করে না, শুধুমাত্র ধর্মীয় রাজনীতি করে।” সৌমিত্র অবশ্য স্নেহাশিসের এই ভোটের পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টিও ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছে। অস্বীকার করতে পারবেন না।” সৌমিত্রের অভিযোগ, তৃণমূল এসব করে দুর্নীতি, ডিএ আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাচ্ছে।

তবে পাল্টা স্নেহাশিসও বলেন, “আপনারা তো ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে রেখে দিয়েছেন। বাংলার হকের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন। আবাস যোজনার টাকা, মানুষের অধিকারের টাকা, ট্যাক্সের টাকা, তাও আটকে দিয়েছেন। আপনারা ভাবেন বাংলার কথা?”

তবে শুধু বাংলা নয়, মহারাষ্ট্র, গুজরাটেও হিংসার অভিযোগ আসছে গত কয়েকদিন ধরে। তা নিয়ে সৌমিত্র খাঁকে প্রশ্ন করা হলে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদের ব্যাখ্যা, “কিছু মানুষ বিশৃঙ্খলা করে ভারতীয় জনতা পার্টির উপর আঙুল তোলার চেষ্টা করছে। কারণ সংখ্যালঘুরাও এবার গুজরাটে বিজেপিকে দু’হাত তুলে ভোট দিয়েছে। তাই যেভাবে সংসদ চলতে দিচ্ছে না বিরোধীরা, একইভাবেই বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে এ ধরনের প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে বিরোধীরা।”